ব্যুরো রিপোর্ট: গতকালের চেয়ে ৬.৭ শতাংশ বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৬৪,২০২ জন। তবে ওমিক্রন আক্রান্তের সংক্রমণকে হালকা ভাবে নিলে হবে না নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
সাধারণ সর্দিকাশির জায়গায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকে ফেলে হবে না। যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকে। গতকা প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ উঠছে গোটা দেশে। আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। শীর্ষে রয়েছে সেই মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,০৯, ৩৪৫ জন। গতকালে চেয়ে সুস্থতার সংখ্যাও বেড়েছে দেশে।
এখন গোটা দেশে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৩, ৪৮,২৪,৭০৬ জন। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ৫,৭৫৩ জন। গতকালের চেয়ে ৪.৪৩ শতাংশ বেড়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণষ সেক্ষেত্রেও শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র।
এই রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। দেশে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৩.৪৮ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৫.২০ শতাংশ।করোনা সংক্রমণের এই বিপুল হারের মধ্যেই আজ গঙ্গাসাগরে অসংখ্য পুন্যার্থী গঙ্গাস্নান করতে শুরু করেছে।
গঙ্গাসাগর মেলা সুপার স্প্রেডারে পরিণত হতে পারে বলে আগে থেকেই সতর্ক করেছেন গবেষকরা। যদিও করোনা বিধি মেনেই গঙ্গাসাগর মেলায় পূন্যার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট করোনা বিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ ছাড়া গঙ্গাসাগর মেলায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে পুন্যার্থীদের আরটিপিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ থাকা বাধ্যতামূলক। পুরো কোভিড বিধি মেনে মেলা হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে।
সেই কমিটি নজরদারি চালাচ্ছে।এদিকে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় হরিদ্বারে কার্ফু জারি করা হয়েছে। গঙ্গাস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল রাত থেকেই হরিদ্বারে নাইট কার্ফু কড়া করা হয়েছে।
গঙ্গাস্নানে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে আশঙ্কা করেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।এদিকে আজ দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গায় নবান্ন উৎসব পালন করা হচ্ছে।
বাংলার ঘরে ঘরে আজ নবান্ন উৎসব পালন করা হচ্ছে। তার মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে একাধিক জায়গায় পকেট লকডাউন করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় পকেট লকডাউন করে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।