ব্যুরো রিপোর্ট: শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬। প্রথম বলেই ওয়াশিংটন সুন্দর ১৪ বলে ১৮ রান করে জেসন হোল্ডারের শিকার হতেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রথম জয়ের স্বপ্ন চুরমার হওয়া নিশ্চিত হয়ে যায়। চতুর্থ বলে ভুবনেশ্বর কুমারকেও ফেরান হোল্ডার।
শেষ বলে আউট করেন রোমারিও শেফার্ডকে। নিট ফল, কেন উইলিয়ামসনের অরেঞ্জ আর্মি টানা দুটি ম্যাচ হারল চলতি আইপিএলে। লখনউ সুপার জায়ান্টস দাপুটে পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে ছিনিয়ে নিল টানা দ্বিতীয় জয়।
জয়ের জন্য ১৭০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১২ রানে জিতে পয়েন্ট তালিকার পাঁচে উঠে এলো রাহুলের দল। রান তাড়া করতে গিয়ে ৩.৩ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
১৬ বলে ১৬ রান করে আবেশ খানের বলে দলের ২৫ রানের মাথায় আউট হন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৫.১ ওভারে অপর ওপেনার অভিষেক শর্মাকেও ফেরান আবেশ। দলের ৩৮ রানের মাথায়, অভিষেক ১১ বলে ১৩ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৪০।
৬.৫ ওভারে ৫০ রান হয় সানরাইজার্সের। ১৩.৫ ওভারে ১০০ স্পর্শ করে অরেঞ্জ আর্মি। তার আগে অবশ্য আরও দুটি উইকেট পড়ে। ১০.১ ওভারে এইডেন মার্করামের উইকেটটি তুলে নেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। ১৪ বলে ১২ রান করে দলের ৮২ রানের মাথায় প্রোটিয়া ব্যাটার আউট হন।
১৩.১ ওভারে রাহুল ত্রিপাঠীকেও সাজঘরের রাস্তা দেখান ক্রুণাল। পাঁচটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ৩০ বলে ৪৪ রান করেন রাহুল। ৯৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর সানরাইজার্সের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন নিকোলাস পুরাণ ও ওয়াশিংটন সুন্দর। শেষ চার ওভারে দরকার ছিল ৪১।
শেষ তিন ওভারে ৩৩। ১৮ ওভারে আবেশ খানের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানোর পর তৃতীয় বলটিতেই নিকোলাস পুরাণ ফুল টসের ফায়দা তুলতে না পেরে লং অফে দীপক হুডার হাতে ক্যাচ দেন। পুরাণ ২৪ বলে ৩৪ রান করেন, তিনটি চার ও দুটি ছক্কার দৌলতে।
পরের বলেই আবদুল সামাদ কট বিহাইন্ড হন। ১৪৩ রানের মাথাতেই দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। এই ওভারে ৭ রান ওঠে, আবেশ খান চার ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট দখল করেন। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২৬।
১৯তম ওভারে প্রথম চারটি বলে অ্যান্ড্রু টাই বড় শট হজম না করলেও পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান রোমারিও শেফার্ড। পরের বলে ক্যাচ পড়ে, এক রান হয়। শেষ ওভারে ১৬ রান তোলা কঠিনই ছিল হায়দরাবাদের পক্ষে।
জেসন হোল্ডার শেষ ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ১২ রানে ম্যাচ জেতান লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার লখনউয়ের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন।
ক্রুণাল ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেলেও ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
৫০ বলে ৬৮ রান করেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ৩৩ বলে ৫১ করেন দীপক হুডা। ১২ বলে ১৯ রান আয়ুশ বাদোনির। টি নটরাজন, ওয়াশিংটন সুন্দর ও রোমারিও শেফার্ড দুটি করে উইকেট নেন।