সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই বাবা রামদেবের সঙ্গে দেখা করবেন বললেন বাবুল! কিন্তু কেন?

সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই বাবা রামদেবের সঙ্গে দেখা করবেন বললেন বাবুল! কিন্তু কেন?

ব্যুরো রিপোর্ট:  আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। গত মাসখানেক আগেই বিজেপি ছাড়েন তিনি। এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান। কিন্তু শাসক তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁর সাংসদ পদ ছাড়া নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা।

লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা তাঁকে সময় দিচ্ছে না বলেও প্রশ্ন উঠতে থাকে।কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকালে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটে। নির্ধারিত সময়েই স্পিকারের কাছে পৌঁছে যান বাবুল। আর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন।

আর ইস্তফা দেওয়ার পরেই শুভেন্দুকে আক্রমণ বাবুলের।এদিন ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে আসার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাবুল সুপ্রিয়। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ ছাড়া নিয়ে শুভেন্দুকে কার্যত তুলোধনা করেন সদ্য তৃণমূল এই নেতা।

তাঁর দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব রয়েছে। কিন্তু অনেক সময়ে কুকথা বলেছে। তবে তা রাজনীতির স্বার্থেই বলেছে বলে দাবি বাবুলের।তবে প্রাক্তন এই সাংসদের দাবি, শুভেন্দুবাবুর উচিৎ তাঁর বাবাকে জ্ঞান দেওয়া।

আমি তো সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। কিন্তু শিশিরবাবু কবে তাঁর সাংসদ পদ ছাড়বেন? প্রশ্ন বাবুলের। তবে যে পার্টিতে আমার মন নেই সে পার্টি আমি ছেড়ে দিয়েছি বলেও জানান তিনি।

তবে আসানসোল থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই সেই কেন্দ্রে নতুন করে উপনির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে কবে ভোট হবে তা নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে। শুধু তাই নয়, আসানসোল কেন্দ্র থেকে কে প্রার্থী হবে তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।

তবে রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, আসানসোল থেকে শাসক তৃণমূল বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করতে পারে। যদিও এই বিষয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করেননি প্রাক্তন এই সাংসদ। তবে তিনি জানিয়েছেন, আসানসোলের প্রতি তাঁর অনেক দায়িত্ব আছে।

আর সেই দায়িত্ব তিনি পালন করবেন বলেও দাবি তাঁর।তবে আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বাবুল। তিনি জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই রামদেববাবার আশ্রমে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন।

তবে কেন? এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, রামদেববাবাই তাঁকে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। ফলে তাঁর সঙ্গে দেখা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বাবুলউল্লেখ্য, মাঝে মধ্যেই দেখা যেত দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ঝামেলাতে জড়িয়ে পড়েছেণ বাবুল।

প্রকাশ্যে কখনও বাবুলকে তোপ দিলীপের, আবার পাল্টা মন্তব্য দিচ্ছেন বাবুলও। কার্যত দুজনের যে সংঘাত চরমে ছিল সে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ বাবুলের চলে যাওয়ার পর একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেণ বাবুল।

তা নিয়েও জোর বিতর্ক তৈরি হয়। প্রকাশ্যে বাবুলের সমালোচনা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। তা নিয়েও সংঘাত তৈরি হয়েছিল বাবুলের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তবে রাজনৈতিকমহলের মতে,

বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসান্সোলের তৎকালীন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে দলে নেওয়া নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়েছিল। বিরোধীতা করার জন্যে দলের তোপের মুখেও পড়তে হয় বাবুলকে। আর সেই সময় থেকে নাকি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত বাবুল একপ্রকার নিয়ে নেয় বলে সূত্রের খবর।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *