ব্যুরো রিপোর্ট: সম্প্রতি দল ছেড়েছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। এর পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন তিনি।
এই আবহের মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন কৃষ্ণ। তিনি বলেন, ‘আমি দল ছাড়াতে ওঁনার মাথা ব্যথা হচ্ছে? ওনাকে স্যারিডন দিতে হবে।’
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে নিজের দূরত্ব বাড়াতে থাকেন কৃষ্ণ। দলের কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র ছবিও সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকে জল্পনা শুরু হয়েছিল বিজেপি ছাড়তে রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক। শুক্রবার, ১ অক্টোবর সেই জল্পনাকে সত্যি করে বিজেপি ছাড়লেন তিনি।
দল ছাড়ার পর দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেছেন, দলে দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। পাশাপাশি তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, দলে তিনি সম্মান পাচ্ছেন না, সেই কারণেই দল থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজ্যে একুশের নির্বাচনের পর গেরুয়া শিবির ছেড়েছিলেন মুকুল রায়। তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এর পর বিজেপির আরও তিন বিধায়ক মুকুলের পথেই হেঁটেছেন।
সম্প্রতি বিজেপিব ছেড়েছেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও। তিনিও যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। তার কিছুদিন পরেই বিজেপি ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
একে একে অনেকে দল ছাড়ায় ধীরে ধীরে রাজ্যে কমে আসছে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা। বিজেপির এই ভাঙন আগামী দিনেও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অবশ্য এখন দেখার বিষয় রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী তৃণমূলে যোগ দেন কি না।