ব্যুরো রিপোর্ট: তিনি বলেছিলেন ‘খুঁজে বের করে’ যোগ্য জবাব দেবে আমেরিকা। কয়েকদিন আগেই কাবুল বিমানবন্দরের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় মার্কিন সেনাদের মৃত্যুর পর একথা জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর শুরু হয় মার্কিনি সংহার রূপ।
গতকালই পেন্টাগন জানিয়েছেন আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর দুই হাইপ্রোফাইল নিশানাকে তারা নিকেশ করে দিয়েছে। এরপরই আমেরিকার তরফ থেকে এ সতর্কবার্তা। তাতে বলা হচ্ছে, ফের একবার কাবুল বিমানবন্দরকে নিশানা করে নয়া হামলা হতে পারে।
মার্কিনি গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের বুকে একাধিক এলাকা এই মুহূর্তে হামলার নিশানায় রয়েছে। সেই জায়গা থেকে মার্কিনি নাগরিক যাঁরা আফগানিস্তানে রয়েছেন, তাঁদের সতর্ক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ,
কাবুল বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা, যার মধ্যে এয়ারপোর্ট সার্কেল গেট বা বিমানবন্দরের দক্ষিণ গেটের কাছে রয়েছেন, তাঁরা যেন সেই জায়গা ছেড়ে চলে আসেন। এই এলাকা গুলিতে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও নতুন মিনিস্ট্রি অফ ইন্টিরিয়ার ও পাঞ্জশির গেটের কাছে হামলা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
আফগানিস্তানের কাবুলে অবস্থিত মার্কিনি দূতাবাস সূত্রে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ফের একবার কাবুল বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় হামলা হতে পারে। ফলে সমস্ত মার্কিন নাগরিকদের এই মর্মে সতর্ক করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারই পুরনো গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী কাবুল বিমানবন্দরের সংলগ্ন এলাকা পর পর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। প্রায় শতাধিক মানুষ সেখানে মারা যান। বহু মার্কিন সেনা শহিদ হন।
এই পরিস্থিতিতে কার্যত ছেড়ে কথা না বলার হুঁশিয়ারি দিয়ে দেন জো বাইডেন। মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যে আইএস জঙ্গি যারা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তাদের খুঁজে বের করে নিকেশ করতে এবার উদ্যত হচ্ছে আমেরিকা।
এর আগে মার্কিন ড্রোন হামলায় দুটি হাইপ্রোফাইল আইএস ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর মার্কিন সরকার এদিন এই হুঁশিয়ার বাণী দিয়েছে। এদিকে, হোয়াইট হাউস থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের যে বিবৃতি এসেছে,
তাতে দেখা গিয়েছে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে যে, আফগানিস্তানের গ্রাউন্ড পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। ফলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখান থেকে মার্কিন সেনা বাকিদের উদ্ধার করে নিয়ে চলে যাওয়ার দিকে উদ্যত।
এর আগে আইএসএস জঙ্গিদের খোরাসান প্রভিন্সের শাখা কাবুল বিমানবন্দরে নারকীয় বিস্ফোরণ চালায়। জানা গিয়েছে এই বিস্ফোরণ আত্নঘাতী হামলা ছিল। এরপরই মার্কিনি রোষে নতুনভাবে পড়ে যায় এই জঙ্গি সংগঠন।