ব্যুরো রিপোর্ট: তথাকথিত নামি পত্রিকার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যারা স্রেফ বানিয়ে গুজব লেখেন। অধিকাংশ মিথ্যে কথা। সবাই বুঝতে পারে। কোনমতে রোজগার করার বা টিকে থাকার এই সহজ রাস্তা দিয়ে কি সত্যি কোনো রোজগার হচ্ছে?
আজ যদি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম না থাকতো, তাহলে এরা কি করতেন? লোকাল ট্রেন এর হকারি? কি করতেন? নিশ্চই করে খেতেন।’ ঠিক এই ভাষাতেই ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকদের আক্রমণ করে বসেন গায়ক, অভিনেতা অঞ্জন দত্ত৷ ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিক এবং ইউটিউবারদের আক্রমণ করে পোস্ট করার পরই অঞ্জনবাবুকে পাল্টা দেয় নেটিজেনরা।
অঞ্জন দত্তের এই মন্তব্য নিয়ে ওয়ানইন্ডিয়া বাংলাকে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বং ডায়রির সোমহ মন্ডল বলেন, ‘আমি অঞ্জন দার গানের ভক্ত। আগামীদিনেও তাই থাকব। কিন্তু এই ধরণের পোস্ট করার আগে ওঁর ভাবা উচিৎ ছিল উনি কনভেন্ট পড়ার সুযোগ পেয়ে ভালো ইংরাজি উচ্চারণ শিখেছেন।
সবাই সেই সুযোগ পান না৷ বাংলা মিডিয়ামে পড়লে তাঁর কথা বলার অধিকার থাকে না এমনটা তো নয়। সবাই নিজের মতো করে বলবে এটাই স্বাভাবিক। উনি কেন এরকম বললেন জানি না!’
ওই ফেসবুক পোস্টে অঞ্জন লেখেন, ‘প্রায় সবাই ক্রিস্টোফার নোলান এবং কোয়ান্টিন টারান্টিনোর ছবির পোস্টার লাগিয়ে তাদের বাড়িতে বসে নানা জ্ঞান দিয়ে যাচ্ছেন।
তাদের কাজট্রেলার পর্যালোচনা করা। কেউ বই পুনঃমূল্যায়ন করেন না। কেউ গীতিকার দূরের কথা, গান নিয়ে আলোচনা করেন না। প্রায় সবাই যাদের গালমন্দ করেন, তাদের interview করতে গেলে ভিজে বেড়াল হয়ে যান।’
বেলা বোস গানের রচয়িতার পোস্টের কমেন্টবক্সে দেবনীল পাহাড়ি নামের একজন লেখেন, ‘সে যাই বলেন না কেন পাহাড়ে হত্যা সিরিজ টা বেকার ই হয়েছে ওই দার্জিলিং এর কিছু দৃশ্য বাদে আর কিছু নেই , লোকে শিক্ষিত হয়েছে বলে এইসব সিরিজ নিয়ে কাটাছেঁড়া করছে তাতে দত্ত বাবু রাগ করেছেন।’
একই ফেসবুক পোস্টে অঞ্জন দত্ত লেখেন, ‘আমি এটা লিখছি কারণ সেই ভাবে কেউ আমাকে গালমন্দ করেন নি। আর করে থাকলেও সেটা আজকের দুনিয়ায় কোনো মূল্য নেই।
আমি লিখছি কারণ এই সামগ্রিক, প্রায় সর্বজনীন মধ্যমতা বা মধ্যমেধা নিয়ে যে কোনো সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে। কারণ আমার অ্যান্ড্রয়েড ফোন এ ক্রমাগত এই অশিক্ষিত বিজ্ঞপ্তি গুলো আসে।
আপনারা, যারা এই পেজ এর অনুগামী, তারা দয়া করে এই আমার পেজ এ এর প্রভাব ফেলবেন না। আমি সেলিব্রিটি নই। কারুর গুরু নই। রুচিবান, বুদ্ধিদীপ্ত কথা লেখা বা বলার জন্য এই পেজ।’
অঞ্জন দত্তের মিডিওকার বা মধ্যমেধা বক্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে কমেন্ট বক্সে কুমারেশ চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘বিশ্বাস করুন ওদের গাল দিলেও আপনার মার্ডার ইন দ্যা হিলস্ অত্যন্ত জঘন্যই থাকবে। ওদের গালাগালি না করে দার্জিলিং,
স্কচ, হুইস্কি থেকে বের হয়ে ভালো কিছু তৈরি করুন না। আর উচ্চারণ?? ছোটবেলায় উপভাষা পড়েননি? ব্যাকরণ বই থেকে একবার উপভাষা পড়ে ফেলুন। তার সাথে কী আর কি টাও পরিষ্কার করে নেবেন।’
অনেকদিন আগেই ‘দত্ত ভার্সেস দত্ত’ সিনেমা করে খ্যাতি কুড়িয়ে ছিলেন অজন দত্ত। এবার তাঁর বিতর্কিত পোস্টের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দত্ত ভার্সেস নেটিজেন দেখতে পাচ্ছেন সবাই!