ব্যুরো রিপোর্ট: নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেটের অফিসে পৌঁছে গেলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে রাজ্যে গরু এবং কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করে সিবিআই। পাশাপাশি মামলার তদন্ত আলাদা ভাবে করতে থাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও।
ইতিমধ্যে রাজ্যে গরু এবং কয়লা-কেলেঙ্কারিতে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে ইডির। সূত্রের খবর, সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে তলব করেন
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে রুজিরা করোনার কারনে দিল্লিতে হাজিরা দিতে পারবে না বলে আগেই তদন্তকারীদের জানিয়েছিলেন।
কিন্তু আজ সোমবার একেবারে নিরদষ্ট সময়ের আগেই জামনগরে ইডির অফিসে পৌঁছে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ইডির দফতরে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
সেখানে অভিষেক বলেন, তদন্তকারী সংস্থা (ইডি) গত ৬ সেপ্টেম্বর আমাকে নোটিশ পাঠায়। তবে যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে আমি প্রস্তুত। তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের কাজ করছেন।
নাগরিক হিসাবে সবসময় তাঁদের সহযোগিতা করা উচিৎ বলে দাবি অভিষেকেররবিবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জল্পনা ছিল যে তিনি সত্যিই ইডির মুখোমুখি হবেন কিনা। তবে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের অভিষেক জানান, ”রাজনৈতিক লড়াইয়ে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসায় নেমেছে।
তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা ছাড়া এদের (শাসক বিজেপি) কোনও কাজ নেই।”স্পষ্ট হয় তিনি ইডি দফতরে যাচ্ছেন।সোমবার ১১টার সময় হাজিরার সময় থাকলেও ১০ মিনিট আগেই সেখানে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইপো।
উল্লেখ্য, ভোটের আগে এই মামলাতে রুজিরাকে জেরা করতে অভিষেকের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় ঘন্টাখানেক জেরা করা হয় তাঁকে।
শুধু রুজিরাকে নয়, তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যকেও জেরা করে সিবিআই। জানা যায়, কয়লা পাচারের টাকার একটি লিঙ্ক হাতে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।
সেই সূত্রের রুজিরাকে তলব করা হয়। তবে অভিষেকের নাম কখনও সামনে আসেনি। তবে যেভাবে তাঁর পরিবাররকে টানা হচ্ছে তাতে ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
তাঁর দাবি, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে পারছে না। আর সেই কারণে অভিষেককে তলব করা হচ্ছে। শুদু তাই নয়,
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টানা টানি করলে এর ফল ভাকলো হবে না। এই প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের কাছেও অনেক প্রমাণ আছে।
বিজেপি নেতারা মহিলাদের সঙে জড়িয়ে পড়েছেন। বস্তা করে সমস্ত ফাইল ইডি দফতরে দিয়ে আসব।
দেখি কি হয়……!! অন্যদিকে আজ একটি মামলাতে শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করে সিআইডি। যদিও তাতে এদিন হাজিরা দিতে পারবেন না বলে সিআইডির তদন্তকারীদের ইমেল করে জানালেন শুভেন্দু।