ব্যুরো রিপোর্ট: ফের একবার ভয়াবহতার দিকে যেতে শুরু করল দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া। কেরলে ফের একবার দৈনিক করোনা আক্রান্ত ৩০ হাজারের ঘরে গত ২৪ ঘণ্টায় পৌঁছে যেতেই এদিন শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭,০৯২।
ফলে আশঙ্কা ও আতঙ্কের মধ্যে এবার উৎসবের মরশুমের আগে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছে দেশ। উল্লেখ্য, দেশে সামনেই উৎসবের মরশুম। তার আগে রয়েছে থার্ড ওয়েভ হানা দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। এরই মধ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ফের ৫০০ এর ঘর ছাড়িয়েছে।
গতকালের রিপোর্টে বলা হয়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১,৯৬৫ জন। ফলে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের একবার ৪০ হাজারের ঘরেই ছিল। তবে তা ৪৫ হাজারের থেকে খানিকটা নিচে ছিল।
এর আগে ক্রমাগত, ৪৫ হাজারের ঘরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গিয়েছে। সেই জায়গা থেকে আজ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজারের ঘর ছাপিয়ে গিয়েছে। ফলে আতঙ্কের রেশ বাড়তে শুরু করেছে।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৭,০৯২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৩৫,১৮১ জন। মৃতের সংখ্যা শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫০৯ জন হয়েছে। এদিকে, দেখা যাচ্ছে করোনার জেরে কেরলে রীতিমতো ভয়াবহ পরিস্থিতি ।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় কেরলে মৃতের সংখ্যার হাত ধরে হু হু করে বেড়েছে ভারতের সার্বিক ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্য়া। দেশে সার্বিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,২৮,৫৭,৯৩৮ জন। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্য়া ৩,৮৯,৫৮৩ জন।
মোট সুস্থ হয়েছেন ৩,২০,২৮,৮২৫ জন। মোট ভ্যাকিসন পেয়েছেন দেশে ৬৬,৩০,৩৭,৩৩৪ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে ৮১,০৯,২৪৪ জন করোনার টিকা পেয়েছেন। ফলে এমন এক সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দেশ আপাতত উৎসবের মরশুমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।এদিকে,
করোনা পরিস্থিতির মাঝেই উত্তরপ্রদেশে হুহু করে বাড়ছে স্ক্রাব টাইফাসের দাপট। এই রহস্যময় জয়েরর কবলে পড়ে অনেকের দেহে ব়্যাশ থেকে শুরু করে প্রবল জ্বরের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনার জেরে সমস্যা বাড়তে শুরু করেছে।
একদিকে করোনার জেরে প্রবল বিধ্বংসী দ্বিতীয় স্রোতের প্রভাব কাটিয়ে এসেছে উত্তরপ্রদেশ। আর তারপর নতুন করে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই স্ক্রাব টাইফাসের তাবড় দাপটে রীতিমতে উদ্বেগে প্রশাসন।
একটা সময় করোনার দ্বিতীয় স্রোতর সময় প্রবলভাবে বিধ্বস্ত হয় উত্তরপ্রদেশ। অক্সিজেনের অভাবে থাকা উত্তরপ্রদেশে করোনার দ্বিতীয় স্রোতে বহু জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, প্রশাসনিক স্তরে স্ক্রাব টাইফাস নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে।
এক বিশেষ পোকার কামড়ে ১০ দিনের মধ্যে জ্বর এসে এই ভয়াবহ রোগ প্রকোপ শুরু করে। ফলে কাঠবেড়ালি বা জঙ্গলের বিভিন্ন গাছ গাছালি থেকে দূরে থাকা বার্তা দিচ্ছে প্রশাসন। মাইট বাহিত এই মারণ রোগের ভ্যাকসিন এখনও আসেনি বলে খবর।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা করে চিন্তিত কেরল। ওনম উৎসব কেটে যেতেই সেখানে প্রবল হারে হু হু করে বেড়ে গিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে উৎসবের রেশ থেকে বেরিয়ে আসা কেরলকে বাঁচাতে একমাত্র কছোর লকডাউন নীতিই কার্যকরী হবে বলে মনে করছে সরকারের একদি দিক।
এদিকে দেশের অর্ধেকের বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বারবার কেরল তেকেই এসেছে গত ৭ দিনে। এই জাগা থেকে প্রশ্ন উঠছে ভ্যাকসিনেশনের গতি বাড়িয়েও কেন কেরলে এভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ?
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভ্যাকসিনেশনের পরও বুস্টার ডোজ প্রয়োজন? এদিকে, গত পরশু দেশে ভ্যাকসিনেশন নিয়ে এতটি রিপোর্ট দেখা গিয়েছে।সেখানে বলা হয়েছে যে উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে অগাস্ট মাসে।
তবে সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন ডোজের ক্ষেত্রে এগিয়ে মহারাষ্ট্র ও গুজরাত। এদিকে, এইমসের চিকিৎসকদের মতে, দেশে ভ্যাকসিনই একমাত্র অস্ত্র করোনা রোধে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে আর ভ্যালুর পরিমাণ কমাতে ভ্যাকসিনকে অস্ত্র করে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র।