অবসর ঘোষণা বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষের

অবসর ঘোষণা বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষের

রিপোর্ট -দেওয়ান দাস : বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ আগামী ৯ জুলাই অবসর নিতে চলেছেন। তিনি তাঁর বর্তমান মেয়াদ শেষ হবার পরে অবসর নেবেন। বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রথম এমডি এবং সিইও হিসেবে চন্দ্রশেখর ঘোষ টানা তিন বার পদের দায়িত্বভার সামলেছেন। বোর্ড এর কাছে দেওয়া তাঁর চিঠিতে চন্দ্রশেখর ঘোষ উল্লেখ করেন যে অবসরের পর তিনি বন্ধন ফাইনান্সিয়াল হোল্ডিংয়ে আরো কৌশলগত ভূমিকা পালন করবেন।

এই পথ কিন্তু খুব সহজ ছিল না । ২০০১ সালে চন্দ্রশেখর ঘোষ ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য এনজিও হিসেবে বন্ধন সংস্থা তৈরী করেছিলেন। ধীরে ধীরে সেই প্রতিষ্ঠানটি বড় হয়ে একটি এনবিএফসি এবং ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত হয়।

আজ বন্ধন ব্যাঙ্কের দেশ জুড়ে ৩৫ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৩.৫ কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট আমানতের পরিমাণ ২৫% বৃদ্ধি পেয়ে ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি হয়েছে। ব্যাঙ্কের প্রদত্ত ঋণের পরিমান ১৮% বৃদ্ধি পেয়ে ১.২৯ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। বর্তমানে বন্ধন ব্যাঙ্কে ৭৫ হাজারেরও বেশি কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।

ব্যাঙ্কের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও, চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “আমার অবসর গ্রহণ একটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে এখানে একটি অত্যন্ত মজবুত টিম রয়েছে যা এই ব্যাঙ্কের দ্রুত বৃদ্ধি করতে এবং আরো বেশি পরিমাণ গ্রাহককে পরিষেবা দিতে প্রস্তুত বলে আমি নিশ্চিত।

গত আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক ব্যবসায়িক গতি ফিরে পেয়েছে এবং তার সাথে ব্যাঙ্ক নিজের নেতৃত্বকে আরো শক্তিশালী করেছে। এই উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে আমার আশা এবং ভরসা আরো প্রকট হয়েছে এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এটাই সঠিক সময় আমার অবসর নেওয়ার।

আমি বোর্ডকে জানিয়েছি যে ব্যাঙ্কের যে কোনো পরামর্শের জন্য আমি সবসময় আছি। 2001 সাল থেকে শুরু হওয়া বন্ধনের 2015 সালে একটি জাতীয় ব্যাঙ্ক হিসেবে রূপান্তরিত হওয়া আমার এই যাত্রা কে পূর্ণ করেছে। একটি ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত হওয়ার রাস্তায় আমি বহু কিছু শিখেছি “।

উল্লেখ্য, ব্যাঙ্কের উত্তরাধিকার এবং বিজনেস ধারাবাহিকতার পরিকল্পনা অনুসারে ব্যাঙ্ক সিলেকশন কমিটি ইতিমধ্যেই পরবর্তী এমডি এবং সিইও পদে কাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *