চতুর্থীতে প্যান্ডেল হপিং শুরু করার আগে অবশ্যই দেখে নিন কি করবেন আর কি করবেন

চতুর্থীতে প্যান্ডেল হপিং শুরু করার আগে অবশ্যই দেখে নিন কি করবেন আর কি করবেন

ব্যুরো রিপোর্ট:  আজ চুতুর্থী। তৃতীয়া থেকেই মন্ডপে মন্ডপে মানুষের ঢল। সোশ্যাল ডিসটেন্স থেকে শুরু করে মাস্ক ছাড়াই মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। প্রশ্নের মুখে কোভিড বিধি।১. পুজোর মণ্ডপ হবে খোলামেলা। চারপাশ থেকে মণ্ডপে প্রবেশের পথ খোলা রাখতে হবে।

যদি মাথার ওপরটা খোলা রাখতেই হয়, তাহলে অন্তত চারপাশ খোলা রাখতে হবে। মণ্ডপের ভিতর যথেষ্ট জায়গা থাকতে হবে। মণ্ডপে প্রবেশের পথ ও বাইরে যাওয়ার রাস্তা আলাদা হতে হবে। কোনও মণ্ডপেই ভিড় করা যাবে না। মণ্ডপে অবশ্য়ই দাগ কেটে রাখতে হবে যাতে সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় থাকে।

২. দর্শনার্থীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। পুজো উদ্যোক্তাদের যথেষ্ট পরিমান মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে, যাতে তা দর্শনার্থীদের মধ্যে বিলি করা সম্ভব হয়।

কেউ যদি মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে আসে তাহলে তাদের মাস্ক দিতে হবে উদ্যোক্তাদের।মণ্ডপে যাতে ভিড় না হয়, সব নিয়ম মেনে চলা হয়, তা দেখার জন্য পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখার কথা বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। আরতি,

সিদুঁর খেলা বা অঞ্জলি দেওয়ার ক্ষেত্রে সব সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চলা হয়, সে দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অঞ্জলির সময় মন্ত্র পড়ার ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণকে মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, যাতে দূরে দাঁড়িয়েও দর্শনার্থীরা অঞ্জলি দিতে পারে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাতে পুজো মণ্ডপ চত্বরে কোনও ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা হয়। বিভিন্ন সংস্থা থেকে পুজোগুলিকে যে পুরস্কার দেওয়ার ব্য়বস্থা করা হয়, তার জন্য মণ্ডপে বিচারকদের প্রবেশও নিয়ন্ত্রনে রাখার কথা বলা হয়েছে।

একসঙ্গে বিচারকদের দুটির বেশি গাড়ি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। বিচারকদের ভার্চুয়ালি মণ্ডপ দর্শনেই জোর দেওয়া হয়েছে। যদি তাঁরা যান তাহলে যেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩-টের মধ্যে যান, সে কথাই বলা হয়েছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যাতে পুজো মণ্ডপ চত্বরে কোনও ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা হয়।বিভিন্ন সংস্থা থেকে পুজোগুলিকে যে পুরস্কার দেওয়ার ব্য়বস্থা করা হয়, তার জন্য মণ্ডপে বিচারকদের প্রবেশও নিয়ন্ত্রনে রাখার কথা বলা হয়েছে।

একসঙ্গে বিচারকদের দুটির বেশি গাড়ি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। বিচারকদের ভার্চুয়ালি মণ্ডপ দর্শনেই জোর দেওয়া হয়েছে। যদি তাঁরা যান তাহলে যেন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩-টের মধ্যে যান, সে কথাই বলা হয়েছে।

দর্শনার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিতে হবে যাতে মানুষ ভিড় না করেন। স্বেচ্ছাসেবকদের ও কর্তব্যরত পুলিশকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুজোর উদ্বোধন বা বিসর্জন কোনোটাই খুব বেশি আড়ম্বরে করা যাবে না। উদ্বোধন ভার্চুয়াল মোডে করার ক্ষেত্রে জোর দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে। আর যদি উদ্বোধনের অনুষ্ঠান করতেই হয়, তাহলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি।অতিমারির কথা মাথায় রেখে এবারও কার্নিভাল বন্ধ রাখা হচ্ছে। কোনও পুজা প্যাণ্ডেলে মেলারও আয়োজন করা যাবে না।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *