ব্যুরো রিপোর্ট: গত দু’বছর ধরে করোনায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ। তারপরে সেখানে যদি বাঙালি হয় কোন কথাই নয়। বাঙালি বরাবরের জন্যই ভ্রমণপিপাসু। তাই করোনা একটু কমলেই মানুষ বেরিয়ে পড়েছে প্রকৃতির কোলে।
বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বা পাহাড় বা সমুদ্রের কোলে মানুষ পাড়ি দিয়েছে একটু শান্তির খোঁজে। নির্জনতায মানুষ নিজেকে হারাতে চায়। আর সেই জায়গা যদি পুরুলিয়া বড়ন্তি হয় তাহলে তো কথাই নেই।
পুরুলিয়া বড়ন্তি এই মুহূর্তে বাঙ্গালীদের কাছে অতি পরিচিত একটি নাম। মানুষের হাতে সময় কম। কম সময়ের মধ্যেই কলকাতার কাছাকাছি জায়গা পুরুলিয়া বড়ন্তি মানুষ খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারে। বড়ন্তি সৌন্দর্য মানুষকে বরাবরই মুগ্ধ করেছে।
সেই বড়ন্তি একসময় কেমন ছিল আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কতটা বদলেছে তারই প্রকৃত রূপ তুলে ধরেছেন সেখানকার ব্লক সভাপতি রাম প্রসাদ চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন ২০১০ এর আগে বড়ন্তি অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।
২০১১থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বড়ন্তি ধীরে ধীরে উন্নতির শিখরে এসে পৌঁছেছে। যে বড়ন্তিতে একসময় ইলেকট্রিক পর্যন্ত পৌঁছে ছিল না এখন সেখানে প্রতিটি ঘরে ঘরে ইলেকট্রিক পৌঁছেছে। একের পর এক রিসোর্ট তৈরি হয়েছে।
বাইরে থেকে মানুষজন এসে সেখানে ব্যবসা বাণিজ্য করছে। সেই জায়গার সাধারণ মানুষের রোজগার বেড়েছে। বর্তমান সময়ে বড়ন্তি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখার জন্য মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মত হয়।
তবে রামপ্রসাদ বাবু জানিয়েছেন নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ভিড় অতিরিক্ত হয়। সেই সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি কন্ট্রোল করতে হয় ।রাস্তাঘাট আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। বড়ন্তি তে বাঁধ রয়েছে। যে বাঁধে সারা বছর জল থাকে এবং সেই জলে মাছ চাষ করা হয়।
বেশিরভাগ মানুষ এখানে মৎস্যজীবী রয়েছেন। বিভিন্ন গ্রামের মানুষরা এখানে এসে মাছ চাষ করেন। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি ।প্রকৃতির কোলে অতি সুন্দর জায়গা বড়ন্তি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বড়ন্তি আজ সৌন্দর্যায়ন অর্জন করেছে।