ব্যুরো রিপোর্ট: তৃণমূল ভবানীপুরে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলেও, বিজেপি তা এখনও করে উঠতে পারেনি। তবে এনিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ খুব একটা তাড়াহুড়ো করার পক্ষপাতী নন। তবে তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও সময় দলের তরফ থেকে ভবানীপুরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।
বিজেপি এখনও ভবানীপুরের প্রার্থী নাম ঘোষণা করতে না পারায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এদিন প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে তার জবাব দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন উনারা তো নন্দীগ্রামে প্রার্থী দিয়েছিলেন। সেখানে তো দুমাস আগে থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল।
কিন্তু রেজাল্ট কী হয়েছে, তা সবাই দেখেছেন। তিনি আরও বলেছেন, লোকসভাতেও তো অনেক আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তারাই ধাক্কা খেয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচন তো মাঠে হয়।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কার্যত খরগোশ আর কচ্ছপের গল্পের কথাই মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন।এদিন দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ভবানীপুরে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। নির্বাচন কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে,
তা নিয়ে আদালতে গিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তিনি বলেছেন, এই ধরনের প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সেখানেই সব বিষয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেছেন, সারা দেশে যেখানে ৩১ টি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে না, পশ্চিমবঙ্গের আরও চারটি আসনে ভোট হচ্ছে না,
সেখানে ভবানীপুরে ভোট কেন? তিনি আরও বলেন, জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কলকাতা সবসময়ই স্পর্শকাতর। যাঁরা বিধানসভা ভোটের সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন,
তাঁরাই ভবানীপুরের নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। তিনি বলেন, কাউকে মুখ্যমন্ত্রী রাখা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়।এদিন দিলীপ ঘোষ ত্রিপুরা সম্পর্কে প্রশ্নে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে লোক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মিডিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এমন কী এই রাজ্য থেকে লোক নিয়ে গিয়ে ওখানে যোগদান দেখানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ত্রিপুরায় উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তৃণমূলের ত্রিপুরা নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন,
আগে তারা পশ্চিমবঙ্গে গুণ্ডারাজ হঠান, তারপর তারা ত্রিপুরায় যাবেন।তৃণমূল নেতাদের ইডি-সিবিআই-এ জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, যাঁদেরকে ডাকা হচ্ছে, তাঁদের সেখানে গিয়ে, নিজেদের বক্তব্য রাখা উচিত। দিলীপ ঘোষ বলেন, এর আগেই বহু লোককে কাউকে ভুবনেশ্বরে, রাউকে শিলং-এ যেতে হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।