শিয়রে উপনির্বাচন, পুজোর মধ্যেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

শিয়রে উপনির্বাচন, পুজোর মধ্যেই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

ব্যুরো রিপোর্ট:  পুজো মিটতে না মিটতেই রাজ্যের ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল পুজোর মধ্যেই। শহর যখন পুজোর আনন্দে মশগুল ঠিক তখনই রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামবে দুর্গাপুজোর মধ্যেই। এদিকে পুজোর মধ্যেই রাজ্যে নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা।

তাই বাড়তি তৎপর রাজ্য পুলিশও।পুজোর পরেই রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গোসাবা, শান্তিপুর, খড়দহ, দিনহাটা। তারমধ্যে খড়দহ কেন্দ্রে হাইভোল্টেজ ভোট। সেখানে প্রার্থী হচ্ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

সেকারণেই একটু বেশি নজর রয়েছে খড়দহ কেন্দ্রের দিকে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আগে ভবানীপুর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। তিনি সেখানে পদত্যাগ করে খড়দহ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভবানীপুর কেন্দ্রে থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

৩০ অক্টোব উপনির্বাচন রাজ্যে। তাই পুজোর মধ্যেই রাজ্যে আসছে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোসাবা, শান্তিপুর,খড়দহ এবং দিনহাটা কেন্দ্রের স্পর্ষকাতর এলাকাগুলিতে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ করবে তারা।

এই বাহিনীতে রয়েছেন ৮ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৯ কোম্পানি বিএসএফ, ৫ কোম্পানি এসএসবি এবং ৫ কোম্পানি সিআইএসএফ জওয়ান। এর আগে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।

৩০ অক্টোবর যে চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেগুলির বেশিরভাগই অশান্তি প্রবণ এলাকা। দিনহাটা সীমান্তবর্তী এলাকা বলে সেখানে অশান্তির ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বিধানসভা ভোটেও দিনহাটায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে।

প্রায়ই সেখানে রাজনৈতির অশান্তি লেগে থােক। অন্যদিকে খড়দহ কেন্দ্রও অশান্তি প্রবণ। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের এলাকা বলে পরিচিত খড়দহ। প্রায়ই দুষ্কৃতি কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে খড়দহে। সেকারণে এই দুই কেন্দ্রে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে চায় কমিশন।

অপেক্ষা কৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা শান্তিপুর এবং গোসাবা। তবে নিরাপত্তায় কোনও রকম ত্রুটি রাখতে চাননা তারা।ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিনই চার কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে পুজোর মধ্যে কোনওরকম প্রচার চালানো হবে না বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুজোয় মানুষ উৎসবের আমেজে থাকেন। ঠাকুর দেখতে যান প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। সেসময় প্রচার করলে সমস্যা হতে পারে বলে তিনি নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছেন।

তাই ৩০ অক্টোবর ভোট হলেও পুজোর মধ্যে কোনও প্রচার হবে না রাজ্যের চার কেন্দ্রে। পুজোর চারদিন একেবারেই উৎসবের আমেজে মানুষকে আনন্দ করার সুযোগ দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *