ব্যুরো রিপোর্ট: বৃহস্পতিবার থেকেই মেঘমুক্ত হবে রাজ্যের আকাশ। আগামী শুক্রবার থেকে রাজ্যে পড়তে শুরু করবে শীতের আমেজ। এমনই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পূবালী হাওয়ার দাপট কমে যাওয়ায় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এখন অবস্থার করছে বিহারে।
কাজেই বৃষ্টির দাপট কমতে শুরু করবে বুধবার থেকেষ দু একবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তেমন বর্ষণ হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।আজও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই। কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
গত ৫ দিন ধরেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়ে চলেছে। প্রথমে আবহাওয়া দফতর বুধবার থেকে বৃষ্টি কমার পূর্বাভাস দিয়েছিল। কিন্তু সেটা বুধবারে পুরোপুরি কাটেনি। বুধবারেও বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে আকাশ মেঘ মুক্ত হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
বুধবারে সকালের দিকে রোদ উঠলেও মাঝে মধ্যে কিন্তু বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে।পূবালি হাওয়ার দাপটে বিহারের দিকে সরে যাচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা যার জেরে বৃহস্পতিবার থেকে আকাশ মেঘ মুক্ত হবে। আর আকাশে মেঘ কাটলেই শীতের আমেজ পড়তে শুরু করবে রাজ্যে।
শুক্রবার। থেকেই রাজ্যের শীতের আমেজ দেখা দেবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কারণ শুক্রবার থেকে জম্মু-কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়গায় তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।তার জেরে পশ্চিমবঙ্গেও হিমেল হাওযা ঢুকতে শুরু করবে এবং তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরাখণ্ডে আগামিকালও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে যে রাজ্যগুলিতে বষ্টি চলছিল সেটা কমতে শুরু করবে। কিন্তু উত্তরাখণ্ডে আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রবল বর্ষণ আর ধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে নৈনিতাল। এখনও পর্যন্ত ধসে ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ ৯ জনেরও বেশি। উদ্ধার কাজ চলছে।তবে বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রাজ্যের একাধিক পর্যটক আটকে রয়েছেন।প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। তিস্তা,তোর্ষা সহ একাধিক পার্বত্য নদী ফুঁসছে। ধস নেমেছে একাধিক জায়গায়। কালিম্পঙে ধস নেমে বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ।
এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে জানা গিয়েছে। পুজোর মরশুমে পর্যটকরা বেড়াতে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে সেখানে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তাঁরা বিপদে পড়েছেন।