ব্যুরো রিপোর্ট: পূর্ব লাদাখের বেশ কিছু এমন জায়গা রয়েছে যেখানের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব সেনার দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এমন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক এলাকা থেকে সেনাকে সরিয়ে নেওয়ার কথা হচ্ছে, তখনই চিন ও ভারতের সীমান্তে লালফৌজ রীতিমতো নিজের মতো করে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে চিনের সেনার নির্মাণ কাজ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ বাড়ছে ভারতের সীমান্তে। এদিকে, দুই দেশের সেনার মধ্যে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনার মাঝে লালফৌজের গতিবিধি কোনপথে যাচ্ছে তা নিয়ে দিল্লি সতর্ক চালে রয়েছে।
এদিকে, গত ২০২০ সাল থেকে চলা ভারত-চিন লাদাখ সংঘাতের হাত ধরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে কূটনৈতিক নজর রেখেছে কার্যত গোটা দক্ষিণ এশিয়া। এদিকে, বিশ্বের নজরেও রয়েছে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের খতিয়ান।
এইচকে পোস্টের একটি খবর অনুযায়ী, লাগদাখের দৌলত বেগ ওল্ডির কাছেই চিনের তেইনওয়েন্ডিয়ান হাইওয়ে নির্মাণ নিয়ে বেশ সতর্কতার নজর রাখছে ভারত। এই এলাকার কাছেই ডেপসাং থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ বিমানবন্দর।
আর এই এলাকার কাছে চিনের ওপারে একটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। যা রীতিমতো নজরে রাখছে ভারত।২০২১ সালের ১৭ অগাস্টের স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে, ডেপসাং এর সীমান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্তে একটি নির্মাণকাজকে তরান্বিত করে চলেছে চিন।
এখানের তেইনওয়েন্ডিয়ান হাইওয়ে ডেপসাং সমতলের থেকে তিন প্রান্তের দিকে আকসাই চিনের আওতায় তাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। সেখানেও চলছে একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ।
রাস্তার কাজটি হল আগের থেকে তার কলেবরকে আরও প্রশস্ত করা।সেনা প্রত্যাহারের কথার সমই ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে, শুধউমাত্র প্যানগংয়ের চারপাশের এলাকাই নয়, বরং পূর্ব লাদাখের সমস্ত ফ্রিকশন পয়েন্ট থেকে সেনা প্রত্যাহার করুক দুই দেশ।
সেই দিক থেকে এছাড়াও ডেমচকে ভারতের পশুপালকদের যদি তাঁদের কাজে আটকানো হয়, তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না বলেও হুঙ্কার দেয়। এদিকে, আকসাই চিন নিয়ে রীতিমতো দখলদারি আরও স্পষ্ট করেছে চিন ।
বিপিন রাওয়াত একটি অনুষ্ঠানে জানান, চিন ও পাকিস্তানের ‘প্রক্সি ওয়ার’ এর বিরুদ্ধে ভারত নিজের সর্বশক্তি দিয়ে একটি প্রযুক্তিগত শক্তি তৈরি করেছে। যার হাত ধরে পাকিস্তান ও চিনের তরফ থেকে আসা যেকোনও চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে পারবে ভারত।
তিনি জানান আগে জম্মু ও কাশ্মীরে এরপর এখন পাঞ্জাবে সমস্যা তৈরির চেষ্টায় রয়েছে পাকিস্তান। আর তার জবাব দিতে ভারতীয় ফৌজ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।