ব্যুরো রিপোর্ট: বুধবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বলা ভাল গত তিনদিন ধরে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে (সোমবার ৫১০, মঙ্গলবার ৬১৩, বুধবার ৭০৮) । তবে এদিন মৃত্যু সংখ্যা কমেছে।
এদিন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭০৮ জন। সুস্থতার হার একই রয়েছে। মঙ্গলবার সুস্থতার হার ছিল ৯৮.২১%, এদিন তা একই রয়েছে। এদিন সুস্থ হয়েছেন ৭২০ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৭০৮। মঙ্গলবার যা ছিল ৬১৩ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮১৭ জন।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮, ৩৯৩। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ১২।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট আক্রান্ত ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮১৭ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগী ৯ হাজার ১৮৫ জন।
এদিন ৩২ জন কমেছে সক্রিয়ের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ৭৩০ জন। মোট করোনা মুক্ত হলেন ১৫ লক্ষ ১৭ হাজার ২৩৯ জন।
কলকাতায় এদিন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৮৯ (৯৫)। উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৯ (৮৯) জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় শুধু কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯৯৭ জন। আর উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ৪৬১৭।
এদিন পর্যন্ত কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্ত ৩,১২, ২৬৯। মঙ্গলবারের পরে বুধবারও কলকাতায় কারও মৃত্যু হয়নি।
এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ৩,০৬, ২৯৯ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৯৭৩ জন। আগের দিনের থেকে সংখ্যাটা ১৩ বেড়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৩,২১, ৩১৬ জন। এদিন মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ৩, ১৫, ৫৭১ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ১১২৮ জন।
ব্রাকেটে আগের দিনের আক্রান্তের সংখ্যা)
গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরদুয়ারে ৮ (৭), কোচবিহারে ২২ (২৭) , দার্জিলিং ৫৮ (৪০), কালিম্পং ১২ (১২) , জলপাইগুড়ি ৪২ (৩১), উত্তর দিনাজপুরে ৪ (৫), দক্ষিণ দিনাজপুরে ১১ (৬), মালদহ ৩ (৫),
মুর্শিদাবাদ ৮ (৩), নদিয়া ৪২ (৩১), বীরভূম ১০ (৭), পুরুলিয়া ৬ (৪), বাঁকুড়ায় ২৫ (২২), ঝাড়গ্রাম ৬ (১৪), পশ্চিম মেদিনীপুর ৩০ (৩৬), পূর্ব মেদিনীপুর ৫২ (৩৬)
, পূর্ব বর্ধমান ১৭ (২৫), পশ্চিম বর্ধমান ২৯ (১০), হাওড়া ৫৭ (৩৮), হুগলিতে ৪৩ (৩৫), উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৯ (৮৯), দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪৯ ( ৩৫) জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তের নিরিখে জেলাগুলির মধ্যে এদিন প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনা ( ৮৯), দুনম্বরে হাওড়া (৫৭), আর তিন নম্বরে দার্জিলিং (৫৪) ।
এদিন উত্তরবঙ্গের কোনও জেলা থেকেই মৃত্যুর খবর নেই। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া,
বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি থেকে মৃত্যুর কোনও খবর নেই। এদিন সব থেকে বেশি ২ জনের আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনায়।
একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এদিন কলকাতা (১৩)
ছাড়াও যে আট জেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেগুলি হল জলপাইগুড়ি (৪), দক্ষিণ দিনাজপুর (৪), মুর্শিদাবাদ (৩), বীরভূম (২), পুরুলিয়া (২), পূর্ব মেদিনীপুর (৫), পশ্চিম বর্ধমান (১২), হাওড়া (১৯)।
এদিন সারা রাজ্যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৪,৫২, ৭৯৩ জন। প্রথম ডোজ পেয়েছে ২, ৭০, ৮৯৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১,৮১,৮৯৭ জন। এদিন পর্যন্ত রাজ্যে ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৩,৭১, ৪৯, ৬৮৭ জন।
যাঁদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২, ৬৮, ৪৩, ৬৩১ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১, ০৩,০৬, ০৫৬ জন। এদিন রাজ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কেন্দ্রের সংখ্যা ২,৭৭৫।