ব্যুরো রিপোর্ট: করোনা ভাইরাস নিয়ে গত আড়াই বছর ধরে ত্রস্ত বিশ্ব। ২০১৯ সালের শেষের দিকে এর প্রথম খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল চিনে। উহানের বাজার, লাইব্রেরি , বায়োলজিক্যাল ওয়ার সহ নানা বিতর্ক , প্রশ্ন নিয়ে বিশ্বে ক্রমবর্ধমান হয়েছে করোনার শক্তি।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে তা এই দুই বছরে ৩০ কোটি মানুষকে ঘায়েল করতে সক্ষম হয়েছে।করোনার তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য মারফত জানা জায় শুক্রবার করোনার জেরে সংক্রমণ বিশ্বে ৩০ কোটি ৩৬ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
করোনার এই দুই বছরে ঘটনাক্রম কেমন ছিল ? ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর, চিনের হুবেই প্রদেশে উহান মিউনিসিপ্যাল হেলথ প্রথম জানায়, সেখানে অজানা নিউমোনিয়ার সংক্রমণ শনাক্ত করা গিয়েছে।
এর পরের দিনই চিন প্রশাসন সেখানকার সামুদ্রিক খাবারের একটি বাজার বন্ধ করে দেয়। তাদের ধারণা ছিল ওই সি ফুড থেকে কিছু হবে। পড়ে আসে বাদুরের মাংস থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার তত্ব।২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নিউমোনিয়ার খবর প্রকাশ করে। সংস্থা জানায়, সেখানে ব্যাপক হারে নতুন ধরনের নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। ৭ জানুয়ারি চীনের কর্তৃপক্ষ জানায়, সেখানে যে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তা নতুন একটি ভাইরাস।
১২ জানুয়ারি। ভাইরাসের জিন বিন্যাস প্রকাশ করে চিন। ধীরে ধীরে চিন সিমানা পেরিয়ে তা ইতালিতে ভয়ংকর চেহারা নেয়। ১১ মার্চ করোনাকে প্যান্ডেমিক বলে ঘোষণা করে ‘হু’।করোনা নিয়ন্ত্রণে করতে একের পর এক ভ্যাকসিন আসছে।
ডোজ বেড়েই চলেছে। মানুষ মাস্ক, স্যানিটাইজার, সোশ্যাল ডিস্টেন্স , লকডাউন, নাইট কার্ফু নিয়ে ত্রস্ত। কিন্তু করোনার কমতি নেই। সম্প্রতি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর তা সারা বিশ্ব সংক্রমণের ঢেউ ছড়িয়ে দিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হন ২৭ লক্ষের বেশি মানুষ। করোনার বলি হয়েছেন ৬,৩৮০ জন। মোট মৃত ৫৪ লক্ষ ৯৬ হাজারের বেশি মানুষ।প্রসঙ্গত, ওমিক্রনের জেরে নতুন ভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে।
বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ্যে আনছেন। তবে অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় কম প্রাণঘাতী। কিন্তু এর সংক্রমণ অন্য যেকোনো ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত ছড়ায়। সেই প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করোনা সংক্রমণের মাত্রা ছিল প্রায় সাড়ে আট লক্ষ। ভারতে আক্রান্ত হন ১ লক্ষ ৪১ হাজার মানুষ। ব্রিটেনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ও ফ্রান্সে এই সংখ্যাটা ৩ লক্ষ ২৮ হাজার।