ব্যুরো রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসের জেরে ফের একবার দেশের আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের উপরে রয়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ভারতে ৪২,৭৬৬ জন হয়েছে।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের ঘটনায় সক্রিয় আক্রান্ত ৪,১০,০৪৮ জন হয়েছে। সেই জায়গা থেকে ফের একবার কেরল নিয়ে উদ্বেগ চরমে পৌঁছেছে। যদিও শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নেমে গিয়েছে ৩০ হাজারের নিচে।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে ৪২,৭৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার ফলে অ্যাক্টিভ কেস লোড রয়েছে ৪,১০,০৪৮ জনের। করোনা থেকে সুস্থতার হার ৯৭.৪২ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৬৬.৮৯ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। ফলে দেশে দ্রুততার সঙ্গে করোনা টিকা করণের দিকে সরকার পাখির চোখ রাখছে।
উল্লেখ্য়, করোনার তৃতীয় স্রোত আসার আগেই কার্যত বিভিন্ন রাজ্য নিজের মতো করে সতর্কতা অবলম্বন করছে। তবে দেশের সিংহভাগ আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে কেরলের করোনা বিধ্বস্ত পরিস্থিতি বারবার নজর কাড়ছে।
দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে কেরল একাই কার্যত ৭০ শতাংশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সাম্প্রতিক গবেষণা তথা সমীক্ষা অনুযায়ী কানপুর আইআইটির অধ্যাপক মণীন্দ্র আগারওয়াল জানাচ্ছেন,
সম্ভবত অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের শুরুতে করোনার তৃতীয় স্রোত হু হু করে আছড়ে পড়তে পারে ভারতের বুকে। সেক্ষেত্রে উৎসবের মরশুম শেষে হতেই এমন ঘটনার সম্ভাবনা নিয়ে শঙ্কিত দেশ।এদিকে করোনা বিধ্বস্ত কেরলের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে ২৯,৬৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন কেরলে। সংখ্যাটি ৩০ হাজারের থেকে কম হলেও, তা উদ্বেগ কমাতে পারেনি। এদিক, কেরলে শেষ একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১৪২ জন।
এই জায়গা থেকে সেখানের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানাচ্ছেন যে, কেরলে এবার হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যাবে। এদিকে, কেরলের এই অঙ্কের পাশাপাশি, ফের এরকার ঈশ্বরের আপন দেশে দানা বাঁধতে শুরু করেছে নিপা ভাইরাসের আতঙ্ক।
সেখানে ইতিমধ্যেই ক ১২ বছর বয়সী বালক মারা গিয়েছে নিপার জেরে। এদিকে, করোনা আতঙ্কের মাঝেই বাংলা ক্রস্ত ডেঙ্গির জেরে। বাংলায় করোনার জেরে বিগত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৬৪ জন।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ১৮৪৯১ জন। এদিকে, উত্তরপ্রদেশে এক অজানা জ্বরে বহু মানুষ আক্রান্ত হওয়ার খবর আসতেই দেখা গিয়েছে, সেখানে স্ক্রাব টাইফাস হানা দিয়েছে।
অন্যদিকে, ডেঙ্গার হানায় ত্রস্ত উত্তরপ্রদেশষ এরই মাঝে ৪০ জন শিশু সহ ৪০০ জন মরশুমের ভাইরাল জ্বর নিয়ে ভর্তি হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ।গতকালের করোনা আক্রান্তদের নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে,
দেশের করোনা সংক্রমণ কমল গত ২৪ ঘণ্টায়।৬ শতাংশ কমে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গতকাল ছিল ৪২,৬১৮ জন। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩,২৯,৪৫,৯০৭ জন।
দেশে মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা এখন ৪,০৫,৬৮১ জন। এরপর ফের আজ ৪০ হাজারের উপর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মাঝে মহারাষ্ট্র ১০ সেপ্টেম্বর থেকে করোনা বিধিকে সঙ্গে নিয়ে পালন করতে চলেছে গণেশ মহোৎসব।
সেই জায়গা থেকে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে গোটা দেশ। এদিকে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩০৮ জনের। যে মৃতের অঙ্কটা কয়েকদিন আগে পর্যন্তও ছিল ৫০০ জনের ওপর।
এদিকে, এরই মাঝে নতুন করে করোনার মু ভ্যারিয়েন্টের রমরমা দেখা দিতে শুরু করেছে। এই ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরে হু এর তরফেও সতর্কবার্তা এসেছে।
প্রাথমিক গবেষণায় মনে করা হচ্ছে যে করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট করোনা টিকার রক্ষা কবচকে ছিঁড়ে বেরিয়ে যেতে পারে সহজে। ফলে সেই জায়গা থেকে উদ্বেগ অব্যাহত।