ব্যুরো রিপোর্ট: কিছুদিনের স্বস্তি মিললেও পুরোপুরি যে করোনা ভাইরাসের বিপদ কেটে যায়নি তার প্রমাণ পাওয়া গেল। বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল ৮০ দিন পর প্রথমবার সক্রিয় করোনা ভাইরাসের কেস বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় করোনা করোনা কেস ১০,৮৭০ থেকে বেড়ে ১১,০৫৮–এ দাঁড়িয়েছে।
ভারতে দৈনিক করোনা ভাইরাস কেস ১০০৭-এ পৌঁছেছে। টানা দ্বিতীয় দিনেও ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমণ দেখা গিয়েছে ১০০০-এর ওপরে। নতুন করে কোভিড সংক্রমণ সহ দেশে নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ৪,৩০,৩৯,০২৩-এ।
ইতিমধ্যেই দিল্লি, গুজরাত ও হরিয়ানা এই তিন রাজ্যে নতুন করোনা কেস ও টেস্ট পজিটিভিটি হার বাড়তে দেখা যাওয়ার পরই সক্রিয় কোভিড-১৯ কেসের বৃদ্ধি হয়েছে। এই তিন রাজ্যের হাসপাতাল ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে বর্হিবিভাগে কোভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
তবে তারা এও জানিয়েছে যে অধিকাংশ রোগী জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির মতো হালকা উপসর্গ নিয়ে আসছে এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হচ্ছে না।ইতিমধ্যে ভারতের ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সক্রিয় করোনা কেস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে।
দৈনিক টেস্ট পজিটিভিটি হার নথিভুক্ত হয়েছে মিজোরামে ১০.৪৭ শতাংশ, হরিয়ানায় ৩.০৫ শতাংশ, নাগাল্যান্ডে ২.৬৩ শতাংশ এবং দিল্লিতে ২.৪৯ শতাংশ। এছাড়াও দেশের ২৭টি জেলায় সাপ্তাহিক পজিটিভ হার ৫ শতাংশ এবং এর মধ্যে একা কেরলে রয়েছে ২৩টি জেলা।
তবে এই নতুন করে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধির পেছনে নতুন কোনও সার্স-কোভ-২ ভ্যারিয়ান্ট রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বা কোভিড-১৯ জেনোমিক সার্ভিলেন্স প্রোগ্রাম ইনসাকগ নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।
এই সংস্থাগুলি ওমিক্রনের বিএ১ ও বিএ২-এর উপ-প্রজাতির মিশ্রণে তৈরি হওয়া এক্সই-এর উপস্থিতি সম্পর্কেও এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি। যদিও ভারতের কিছু রাজ্যে ও ব্রিটেনে এই ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ মিলেছে।
আর এই নতুন ভ্যারিয়ান্টের জন্যই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রন ওয়েভের সময় ভারতে ২৩ জানুয়ারি সর্বাধিক সক্রিয় করোনা কেস ২২ লক্ষ রিপোর্ট হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকেই দেশে সক্রিয় করোনা কেস হ্রাস পেতে শুরু করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২০২০ সালের ২৮ মার্চের পর থেকে ৭৪৭ দিনের মধ্যে প্রথমবার। তবে সরকারি মতে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৫,২১,৭৩৭ জনের।