করোনার সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশে, চার মাস পর ১৩ হাজার ছুঁই ছুঁই আক্রান্তের সংখ্যা

করোনার সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশে, চার মাস পর ১৩ হাজার ছুঁই ছুঁই আক্রান্তের সংখ্যা

ব্যুরো রিপোর্ট:  করোনা সংক্রমণ নাগাড়ে বেড়ে চলেছে। ফের দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ পৌঁছে গিয়েছে ১৩ হাজারের দোরগোড়ায়। সতর্কতা জারি হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কেরল ও কর্নাটকে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। একাধিকর রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

বাড়ছে বাংলাতেও। সার্বিকভাবে গোটা দেশেই করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী।বৃহস্পতিবার দেশের করোনা সংক্রমণ চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। শুক্রবার তা বেড়ে ১৩ হাজারের গণ্ডিতে প্রায় ঢুকে পড়ল। শুক্রবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৪৭ জন। যা গতকালের থেকে সামান্য বেশি। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৭৭ জন।দেশের করোনা সংক্রমণ সবথেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। শুধু মহারাষ্ট্রেই সংক্রমণ চার হাজারের বেশি। রাজধানী দিল্লির অবস্থাও শোচনীয়।

সংক্রমণ বাড়ছে কেরল ও কর্নাটকেও। বর্তমানে দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস ৬৩ হাজার ৬৩ জন। এই সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে নতুন করে। একদিনে দেশে করোনার সক্রিয়ের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার জন। গতকালের থেকে এদিন ৪ হাজার ৮৪৮ জন বেশি হয়েছে সংক্রিয়ের সংখ্যা।

একইসঙ্গে দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছে আড়াই শতাংশের কাছাকাছি।দেশের পরিবার ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী করোনায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮১৭ জন।

করোনা থেকে একদিনে সেরে উঠেছে ৭ হাজার ৯৮৫ জন। মোট করোনা মুক্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৮২ হাজারে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় অর্ধেক করোনা মুক্ত হয়েছেন দেশে। ফলে সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৬৪ শতাংশ।

স্বাস্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ফের করোনা ভ্যাকসিনের উপর জোর দিয়েছে এই পরিস্থিতিতে। বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এখন পর্যন্ত দেশে ১৯৫ কোটি ৮৪ লক্ষের বেশি ডোক করোনা টিকা প্রদান করা হয়েছে।

তার মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ।করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সবার আগে মহারাষ্ট্র। তারপরেই রয়েছে কেরালা। কেরালায় একদিনে ৩ হাজার ৪১৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে যেখানে মোট সংক্রমণ ৭৯ লক্ষের বেশি,

সেখানে কেরালায় মোট সংক্রমণ ৬৫ হাজারের ঊর্ধ্বে। দৈনিক সংক্রমণে তারপরেই রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে ১৩২৩ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন। মোট সংক্রমণ ১৯ লক্ষের ঊর্ধ্বে।

আর কর্নাটকে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৩৩ জন। মোট সংক্রমণ ৩৯ লক্ষের বেশি। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯৮ জন। মোট সংক্রমণ ২০ লক্ষের বেশি।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *