ব্যুরো রিপোর্ট: গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে শহর কলকাতায় কোভিশিলড ভ্যাকসিনের অভাব দেখা দিয়েছে। তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। এদিনও আরো একবার তা জানালেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
তিনি জানিয়েছেন যদি শনিবার রাতে বেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ এর ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায় তাহলে সোমবার থেকে আবারো ভ্যাকসিন সমস্ত মানুষকে দেওয়া শুরু হবে ।তবে কেন্দ্র সরকার কে বারবার করে জানানো হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে যাতে ভ্যাকসিন রাজ্যকে পাঠানো হয়।
এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার করে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন বলেও উল্লেখ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন যতক্ষণ না পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ এর ভ্যাকসিন এসে পৌঁছাচ্ছে তা সাধারণ মানুষকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন এক দিনে এক লাখেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া এখন সম্ভব। প্রথমের দিকে কোভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছিল না। আর এখন কোভিশিলড নিযে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে এদিন তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কেও একহাত নেন ।তিনি জানিয়েছেন একজন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মুখে কোনো রকম অসভ্য কথা মানায় না। তাছাড়া তিনি জানিয়েছেন দীলিপবাবু যখন কথা বলছেন তখন সমস্ত রকম তথ্য নিয়ে তবে কথা বলুন।
কেন্দ্রীয় সরকার বন্যাকবলিত এলাকার জন্য কত টাকা পাঠিয়েছে ।তার প্রমাণ দেখাতে বলেন এদিন ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন যশের সময় বা আমফানের সময় কত পরিমান টাকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
আসলেই দীলিপবাবুর স্বভাবই এমন বলেও মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। যদি কোন বাসে 50 শতাংশের বেশি যাত্রী তোলা হয় তাহলে সেই বাসে যিনি যাত্রা করছেন তিনি সেই বাসের টিকিট নিয়ে এফআইআর করতে পারেন।
তাহলে সেই বাসের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পরিমাণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি আরও একটি দিক এদিন তিনি উল্লেখ করেছেন তিনি জানিয়েছেন তার নাম করে অনেক জায়গায় প্রতারণা করা হচ্ছে। যা একেবারেই উচিত নয়।
কিছু অসাধু মানুষ তাঁর নাম করে চাকরি দেওয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে টাকা উপার্জন করছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে কাশিপুর থানা এলাকায়।
সেখানে এক যুবক দাবি করেন তিনি ফিরহাদ হাকিম কে চেনেন এবং বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে কলকাতা কর্পোরেশন এবং সরকারি দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিরহাদ হাকিমের নাম করে টাকা তোলেন।
এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন তিনি কোনোভাবেই এই বিষয়ে সঙ্গে যুক্ত নয়। সাধারণভাবে তিনি সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন কলকাতা কর্পোরেশনের যখন কোন লোক নিয়োগ করা হয় একমাত্র মিউনিসিপালিটি সার্ভিস এক্সাম এর মাধ্যমে লোক নিয়োগ করা হয় ।মানুষ যেন এই বিষয়ে সতর্ক থাকেন।