ব্যুরো রিপোর্ট: আজ ১ বৈশাখ। বাংলার আপামর মানুষ মেতে বাংলা বর্ষবরণে। ময়দানে চিরাচরিত রীতি মেনে হয়েছে বারপুজোও। নববর্ষের সন্ধ্যায় রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচও। আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে কেকেআর। তার আগে কেকেআর শিবিরও মাতোয়ারা নববর্ষে।
অস্ট্রেলিয়ার হলুদ জার্সিতে খেলা প্যাট কামিন্স ও অ্যারন ফিঞ্চ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে পরলেন হলুদ পাঞ্জাবি। বাংলায় শুভ নববর্ষ বলে সকলকে শুভেচ্ছাও জানালেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন বাংলাতেই।
শ্রেয়স সতীর্থদের নববর্ষ সম্পর্কে অবহিত করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে মিষ্টিমুখও করালেন।১ বৈশাখেই ফের জয়ের সরণিতে ফিরতে বদ্ধপরিকর কেকেআর। আজ জিতলে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানও দখল করবে কেকেআর।
৫ ম্যাচে গুজরাত টাইটান্স ৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে এক নম্বরে। তাদের নেট রান রেট ০.৪৫০। কেকেআরের ৫ ম্যাচে রয়েছে ৬ পয়েন্ট, নেট রান রেট ০.৪৪৬। ২০১৯ সালের পর আর নাইটদের হারাতে পারেনি সানরাইজার্স। সেই ধারা বজায় রেখে সানরাইজার্সের জয়ের হ্যাটট্রিক কেকেআর আটকাতে পারবে কিনা সেদিকেই তাকিয়েই ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কেকেআরের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে প্যাট কামিন্সের কাছে ফোটো সেশনের ফাঁকেই মিষ্টির ডিশ নিয়ে হাজির হয়েছেন শ্রেয়স। বাংলার নববর্ষের কথা তাঁকে জানিয়ে মিষ্টিমুখ করার অনুরোধ করেছেন। রসগোল্লাও ছিল। তবে ক্ষীর কদমই পছন্দ হয়েছে কামিন্সের।
ক্রিকেটাররা এমনিতেই মিষ্টি থেকে দূরে থাকেন। স্বাভাবিকভাবে কামিন্সও সব মিষ্টি খেতে পারেননি। যদিও ইচ্ছা যে ছিল না তা নয়। তবে অধিনায়ক দলের বড় ভরসার ফিটনেসের কথা মাথায় রেখেই পুরো ডিশ ফিনিশ করতে দেননি।আইপিএল সম্প্রচারকারী স্টার স্পোর্টসেও বাংলার নববর্ষে কেকেআর ক্রিকেটারদের নিয়ে বিশেষ এপিসোড দেখানো হয়েছে।
অ্যারন ফিঞ্চকেও পাঞ্জাবি পরে কোন মিষ্টি কোনটি সেটা বলার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছে। আজকের ম্যাচে কেকেআর জার্সিতে প্রথম ম্যাচ খেলার সম্ভাবনাও রয়েছে ফিঞ্চের। সেটি হলে নবম কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে আইপিএল খেলতে দেখা যাবে ফিঞ্চকে।
অস্ট্রেলিয়ার সাদা বলের অধিনায়ক ফিঞ্চ চাররকম মিষ্টি দেখে জানান, কোন মিষ্টির নাম কী তা তিনি জানেন না। তবে চিনতে পারলেন রসগোল্লাকে। ফিঞ্চের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কেশর সন্দেশ, ক্ষীর কদম, নলেন গুড়ের সন্দেশ ও রসগোল্লা। কামিন্সের মতো ফিঞ্চেরও পছন্দ হয়েছে ক্ষীর কদম।