২০ হাজারের গন্ডি পেরিয়ে গেল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, ওমিক্রন আক্রান্ত দেড় হাজার ছুঁই ছুঁই

২০ হাজারের গন্ডি পেরিয়ে গেল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, ওমিক্রন আক্রান্ত দেড় হাজার ছুঁই ছুঁই

ব্যুরো রিপোর্ট:  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ২০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেল আক্রান্ত হয়েছেন ২২,৭৭৫ জন। দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮০৬ জনের। ওমিক্রন সংক্রমণের মাঝেও একাধিক রাজ্যে বর্ষবরণের উৎসবে মজেছিল মানুষ।

করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে মোদী সরকার তৎপর হলেও উৎসবের আমেজে গা ভাসিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। কাজেই সংক্রমণ যে আরও বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।বছরের শুরুতেই উদ্বেগজনক দেশের করোনা পরিস্থিতি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

গতকাল যেখানে ১৬ হাজারের কিছু বশি ছিল করোনা সংক্রমণ দেশের। সেটা বেড়ে হয়ে গিয়েছে সাড়ে ২২ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২,৭৭৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮,৯৪৯ জন। দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে।

অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,০৪,৭৮১। সুস্থতার হার এখন ৯৮.৩২ শতাংশ।পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,৪৩১। গতকাল সংখ্যাটা ছিল হাজারের সামান্য কিছু বেশি।

এদিকে আজ থেকেই ১৫ বছরের উর্ধ্বে সকলের করোনা টিকাকরণের জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর মোদী সরকার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের কারণে ১৫ বছরের উর্ধ্বে সকলের করোনা টিকাকরণের কথা ঘোষণা করেছেন।

সেই সঙ্গে ৬০ বছরের উর্ধ্বে সকলের করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।দ্বিগুণ হারে বাড়তে শুরু করেছে দেশের করোনা সংক্রমণ গত ৪ দিনে আড়াইগুণ হারে বেড়েছে দেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ।

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে একাধিক রাজ্যে বর্ষবরণের উৎসবে রাশ টানা হয়েছিল। কিন্তু মানুষ গা ভাসিয়েছিলেন সেই উৎসবের আনন্দে। কাজেই নতুন করে আরও বাড়তে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। নীতি আয়োগের স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন মাস্কের কোনও বিকল্প নেই।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একমাত্র মাস্ক পরা আবশ্যিক বলে দাবি করেছেন তিনি। সেকারনে বারবার সাধারণ মানুষকে মাস্ক বেশি করে পরার পরামর্শ দিয়েছেন।দেশে এখনও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে মহারাষ্ট্র।

সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৫৪। তারপরেই রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫১। তারপরেই রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১১৮ জন। গুজরাতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ১১৫ জন।

কেরলেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পার করে গিয়েছে। গত কয়েকদিনে দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ২ জন। তারমধ্যে একজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তার বয়স ৫২ বছর। দ্বিতীয় জনের মৃত্যু হয়েছে গতকাল। রাজস্থানের উদয়পুরে মারা গিয়েছেন ৭৩ বছরের বৃদ্ধ।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *