ব্যুরো রিপোর্ট: দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে আইপিএলে ফাইনালে যেতে চার ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দরকার ছিল ১৩ রান! সেই ম্যাচও চলে গেল রুদ্ধশ্বাস পরিসমাপ্তিতে। ৭ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে ফেলে ইয়ন মর্গ্যানের দল।
শেষ ওভারে ৭ রান তুলতে গিয়েও ল্যাজেগোবরে অবস্থা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর আউট হলেন শাকিব আল হাসান ও সুনীল নারিন। ২ বলে যখন ৬ রান দরকার তখন বিরাট ছক্কা মেরে নাইটদের ফাইনালে পৌঁছে দিলেন রাহুল ত্রিপাঠি। ১১ বলে ১২ রানে অপরাজিত রইলেন তিনি।
শারজায় ১ বল বাকি থাকতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৩ উইকেটে হারিয়ে আইপিএল ফাইনালে উঠল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই নিয়ে তৃতীয়বার আইপিএল ফাইনাল খেলবে কেকেআর। ২০১২ ও ২০১৪ সালের আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন কেকেআর ফাইনালে কখনও হারেনি।
শুক্রবার আইপিএল ফাইনালে প্রতিপক্ষ চেন্নাই সুপার কিংস। এই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ২০১২ সালে আইপিএল খেতাব জিতেছিল কেকেআর। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল ১৩৬ রান।
এদিনও নাইটদের জয়ে অন্যতম বড় অবদান রাখল ওপেনিং জুটি।১২.২ ওভারে ওপেনিং জুটি ভাঙে। ভেঙ্কটেশ আইয়ার চারটি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ৪১ বলে ৫৫ রান করে আউট হন দলের ৯৬ রানের মাথায়।
১৬ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ১২৩ রানে। ১২ বলে ১৩ রান করে এনরিখ নরকিয়ার শিকার হন নীতীশ রানা। তার আগে অবশ্য তিনি জীবন পান আবেশ খানের বলে সহজ ক্যাচ রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফেলে দেওয়ায়। ১৭তম ওভারে চতুর্থ বলে শুভমান গিল আউট হন।
একটি করে চার ও ছয় মেরে ৪৬ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। ১২৫ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে কেকেআরের। ১৮তম ওভারটি অবশ্য বেশ নাটকীয়। কাগিসো রাবাডার প্রথম চার বলে কোনও রান নিতে পারেননি রাহুল ত্রিপাঠি। পঞ্চম বলে এক রান নেন।
শেষ বলে দীনেশ কার্তিককে বোল্ড করে দেন রাবাডা, তিন বলে কোনও রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন কার্তিক। ফলে শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়ে ১০ রান। ১৯তম ওভারে দুরন্ত বোলিং করেন এনরিখ নরকিয়া।
প্রথম বলে ত্রিপাঠি মিসফিল্ডের ফায়দা তুলে দুই রান নেওয়ার পরেও বাকি পাঁচ বলে আর মাত্র এক রান দেন নরকিয়া। শেষ বলে আবার তিনি বোল্ড করেন কেকেআর ক্যাপ্টেন ইয়ন মর্গ্যানকে। মর্গ্যানও তিন বলে শূন্য রানে আউট হন।
৬ রানের মধ্যে চার উইকেট হারানোর জেরে শেষ ওভারে নাইটদের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় সাত রানের।রাবাডা চার ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। এনরিখ নরকিয়া চার ওভারে ৩১ রানের বিনিময়ে দুটি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৩.৫ ওভারে ২৭ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট পান।
আবেশ খান চার ওভারে ২২ রান খরচ করে একটি উইকেট দখল করেন। এক নম্বর দল হিসেবে প্লে অফে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারার পর আজ কেকেআরের কাছে হার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও। গতবারের রানার-আপদের এভাবে বিদায়ের কারণে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ সমর্থকরা।