ব্যুরো রিপোর্ট: দলের ভাঙন আটকানোর জন্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দিল্লি ডেকে বার্তা দিয়েছিলেন অমিত শাহ’রা। কিন্তু, তা সত্বেও রোখা গেল না দলের ভাঙন। এবার দল ছাড়লেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
এবার তিনি বিজেপি বিধায়কদের মতো তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে জোর জল্পনা চলছে।পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে থাকেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক। দলে কোনও কর্মসুচিতে না থাকার কথাও তিনি জানিয়েছিলেন।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র ছবিও সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার পর থেকেই জল্পনা চলছিল যে বিজেপি ছাড়তে পারেন কৃষ্ণ কল্যাণী। সেই জল্পনাকে সত্যি করে শুক্রবার গেরুয়া শিবির ছাড়লেন তিনি।
বিজেপি ছাড়ার পর দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।‘ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘যেখানে বিধায়কের সম্মান নেই, সেখান থেকে সরে যাওয়াই ভাল।‘
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায়, বিশ্বজিৎ দাস বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এর পর মন্ত্রিত্বপদ হারানোর পর বিজেপি ছেড়েছেন বাবুল সুপ্রিয়ও। তিনিও যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে।
এর পরেই রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দিল্লি ডেকে দলের ভাঙনের বিষয়টিকে খেয়াল রাখতে বলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। কিন্তু, তার পরেই বিজেপি ছাড়লেন কৃষ্ণ কল্যাণী। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের বিধায়ককে শোকজ করেছিল বিজেপি রাজ্য কমিটি। অবশ্য, তিনি কোনও আইনি নোটিশ পাননি বলে জানিয়েছেন কৃষ্ণ। আর এর পরেই দল ছাড়লেন তিনি।এর ফলে রাজ্যে বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে।
বর্তমানে বিজেপির এই ভাঙন আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এখন দেখার বিষয় রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবার অন্যান্যদের মতো তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন কি না।