ব্যুরো রিপোর্ট: ঘি আমাদের শরীরের নানারকম উপকার করে থাকে। আমরা অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ঘি এড়িয়ে চলি। কিন্তু ওজন বরং কমাতে সাহায্য করে ঘি। ব্রেনের শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক ঘি। কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে ঘি।
এছাড়াও রয়েছে ঘি- এর আরও অনেক উপকারিতা। নিচে ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে দেওয়া রইল।ওজন কমাতে সাহায্য করেএকাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘিয়ের মধ্যে মজুত মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড, শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেল গলাতে শুরু করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেপ্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিতর থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। তাই ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়ে ঘি খেলে।কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়নিয়মিত ঘি খাওয়া শুরু করলে কোষেদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
ফলে দেহের সচলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে রোগভাগের আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, নতুন কোষেদের জন্ম যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে ঘি। ফলে যে কোনও ধরনের শারীরিক ক্ষত সেরে ওঠে কম সময়ে।
ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়মস্তিষ্কের সচলতা বজায় রাখতে উপকারি ফ্যাটের প্রয়োজন পরে। আর যেমনটা আপনারা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন যে ঘিয়ে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট, যা ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ঘিয়ে উপস্থিত প্রোটিন, নিউরোট্রান্সমিটাররা যাতে ঠিক মতো কাজ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধি ঘটতে সময় লাগে না।আর্থ্রাইটিস দূরে থাকেখালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে,
যা একদিকে যেমন জয়েন্টের সচলতাকে বাড়িয়ে তোলে, তেমনি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি যাতে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে আর্থ্রাইটিস ও হাড়ের যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ঘিয়ে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড,
যা শরীরের গঠনে নানাভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়খালি পেটে ঘি খেলে শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে।
ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণঘিয়ে রয়েছে কে২ এবং সিএলএ নামক দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ক্যান্সার সেলেদের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কাও কমায়।