ব্যুরো রিপোর্ট: দেশের ১০০ কোটি মানুষের করোনা টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। বড় সাফল্যের অধিকারী দেশ, কিন্তু তা বলে রাশ আলগা করলে চলবে না। এখনও যুদ্ধ শেষ হয়নি। আর যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র ছাড়া উচিত নয়।
তাই মাস্ক না পরে বাইরে বেরোনো যাবে না। জুতো পরার মতো মাস্ক পরা অভ্যাস করে ফেলতে হবে বলে দেশবাসীকে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।১০০ কোটি মানুষের করোনা টিকাকরণ হয়ে গেলও মাস্ক পরা ছাড়লে চলবে না।
শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশবাসীকে এমনই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, করোনা টিকাকরণ হলেও যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। এখনও লড়াই জারি রয়েছে। কাজেই করোনা টিকাকরণ হলেও মাস্কের ব্যবহার জারি রাখতে হবে।
দেশবাসীকে মাস্কের ব্যবহার ভুলে গেলে চলবে না। বাইরে বেরোলে যেমন কেউ জুতো পরতে ভোলেন না সেরকম ভাবেই মাস্ক পরা মনে রাখতে হবে বলে দেশবাসীকে বার্তা দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য করোনা টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে বলে অনেকেই মাস্ক না পরে ঘোরাঘুরি করছেন বাইরে।
তাই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী রাজ্যগুলির সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। এর আগেও দেশবাসীকে মাস্ক ব্যবহারের বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।করোনা টিকাকরণে ১০০ কোটি পূর্ণ করেছে ভারত। দেশিয় প্রযুক্তিতেই বড় সাফল্য এসেছে দেশে। এই নিয়ে মোদী সরকার দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শত সমালোচনার পরেও ভারত করোনা টিকাকরণে নতুন মাইলস্টোন ছুঁতে পেরেছে। গোটা বিশ্বের কাছে যা নজির বলে জানিয়েছেন তিনি। আগে বিদেশ থেকে টিকা আমদানি করা হত। এবার সেটা দেশেই উৎপাদন করে দেখিয়েছে ভারত।
তাতেই হয়েছে বাজিমাত। এবং সকলের জন্য করোনা টিকায় জোর দিয়েছিল মোদী সরকার। বিনামূল্যে টিকাকরণ থেকে শুরু করে সকলের জন্য করোনা টিকার সাফল্য এসেছে দেশে। ১০০ কোিট দেশবাসীকে করোনা টিকা দিতে সমর্থ হয়েছে সরকার।
বড় লক্ষ্যপূরণ করতে সক্ষম দেশ। তবে যতক্ষণ যুদ্ধ চলছে, অস্ত্র নামাবেন না, সাবধানের সঙ্গে উত্সব পালন করুন। জুতো পরে যেমন আমরা বাইরে যাই, মাস্ক পরেও যেন তাই আমরা করি এমনই বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।করোনা কালে ভোকাল ফর লোকালের বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অর্থাৎ দেশিয় জিনিসের উপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। এতে যেমন দেশের আত্মনির্ভরতা বাড়বে, তেমন দেশিয় জিনিসের ব্যবহারেরর ফলে দেশের মানুষের আর্থিক স্বনির্ভরতাও তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছে, মেড ইন ইন্ডিয়া তকমা শক্তিশালী হচ্ছে এখন।
ভারতে তৈরি জিনিসপত্র কেনায় জোর দিন। ভোকাল ফর লোকাল স্লোগানকে বাস্তাবায়িত করতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারতীয় সংস্থাগুলিতে এখন রেকর্ড বিনিয়োগ আসছে। গৃহ নির্মাণ ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে উন্নতির জোয়ার।
করোনা-কালে দেশের অর্থনীতিকে সামাল দিয়েছে কৃষিক্ষেত্রের পারফরমেন্স। সব ক্ষেত্রে উন্নতির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে, উৎসবের মরশুম তাতে আরও গতি দেবে।করোনা টিকাকরণের বার্তা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিরোধীদেরও নিশানা করেছেন।
তিনি বলেছেন একটা সময়ে সকলে প্রশ্ন তুলেছিলেন, থালা বাজিয়ে, প্রদীপ জ্বালিয়ে লড়াই হয়েছে। এতে করোনা যাবে? কিন্তু এর ফলে একত্র লড়াইয়ের বার্তা প্রচারিত হয়েছে। সবাই এই টিকা পেয়েছেন, টিকা গ্রহণ নিয়ে এখানে কোনও সংশয় ছিল না।
শুরুেত বলা হয়েছিল বিপুল জনসংখ্যার দেশ ভারচ। তাই এই লড়াই কঠিন হবে। এত জনসংখ্যার দেশে এত অনুশাসন এখানে কী করে পালিত হবে? সবাইকে নিয়ে নিখরচায় ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি চালু হয়েছিল।
টিকা কর্মসূচিতে ভিআইপি সংস্কৃতি আসতে দেওয়া হয়নি। সকলে করোনা টিকা পেয়েছেন। ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচির তুলনা এখন সারা বিশ্বের সঙ্গে হচ্ছে। যে দ্রুততায় ১০০ কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়েছে বলার অপেক্ষা রাখে না।