ব্যুরো রিপোর্ট: বিধানসভা নির্বাচনে জয় না পেলেও মুখরক্ষা হয়েছিল বিজেপির। কিন্তু, কলকাতার পুরভোটে ফল আরও খারাপ হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে নতুন রাজ্য কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সম্ভবত রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এমনকি জানুয়ারি মাসেই বাংলায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চিয়তা পাওয়া যায়নি।
সোমবারই বিজেপি এ রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে একদফা বৈঠক করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। আর সেই বৈঠক থেকেই জানা গিয়েছে, সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে তারুণ্যে ওপর জোর দিতে চায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
সম্প্রতি সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের পরই, বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, যা প্রকাশ্যে চলে আসছে ক্রমশ। তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন দিল্লির নেতারা।অবিলম্বে পরিস্থিতি সামাল দিতে সচেষ্ট হয়েছে গেরুয়া শিবির।
ইতিমধ্যেই সোমবার চার পুরনিগমের ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে দলের পরিস্থিতি যে ভালো নয়, সেটা বুঝেই সক্রিয় হচ্ছেন শাহ-নাড্ডারা। দলের মধ্যে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তাতে ভোটে কতটা সুবিধা করা যাবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
সম্ভবত তা বুঝতে পেরেই বিজেপি পদক্ষেপ করছে।বাংলায় এই মুহূর্তে দলকে চাঙ্গা করাই সবথেকে প্রয়োজনীয়। তাই সক্রিয় হচ্ছে দিল্লি নেতৃত্ব। সব ঠিক থাকলে নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যে আসছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
পরে জানুয়ারির শেষের দিকে এ রাজ্যে এসে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দলকে পুনবরুজ্জীবিত করতে তাঁরা সভা করতে পারেন বলেই সূত্রের খবর।বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৯ এবং ১০ ডিসেম্বর, দু’দিনের জন্য রাজ্য সফরে আসছেন নাড্ডা।
আগামী ২২ জানুয়ারি আসানসোল, বিধাননগর, চন্দননগর এবং শিলিগুড়িতে পুরভোট হওয়ার কথা। তার আগে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন নাড্ডা। সব অভিযোগ শুনবেন তিনি।অন্য দিকে, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ।
বিজেপি সূত্রে খবর, পর পর দুই ভোটে ধাক্কার পর চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে দলে। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী তথা সাংসদও প্রকাশ্যে রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। মতুয়াদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এতেই নাকি অসন্তুষ্ট নাড্ডা। তাই প্রয়োজনীয় কাজ সেরেই তিনি ছুটে আসছেন বাংলায়।