উৎসবের মরশুমে দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজারের ঘরে নামল, পরিসংখ্যান একনজরে

উৎসবের মরশুমে দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজারের ঘরে নামল, পরিসংখ্যান একনজরে

ব্যুরো রিপোর্ট:  গতকাল করোনার রিপোর্টে দৈনিক ৩০ হাজারের নিচে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়েছিল। এরপর আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫,৪০৪ জন। করোনায় মৃতের সংখ্যাও আগের তুলনায় দৈনিক হারে খানিকটা নেমেছে।

উল্লেখ্য, উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই গণেশ চতুর্থীর পুজো শুরু হয়েছে। কিছু জায়গায় ভাসানও হয়েছে। তবে তার মাঝেই সেভাবে আর করোনা পরিস্থিতি মাথা চাড়া দেয়নি বড়ভাবে। অন্যদিকে, কেরলেও খানিকটা হলেও আয়ত্তে এসে গিয়েছে পরিস্থিতি।

এদিকে, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা বলছে তৃতীয় স্রোত করোনার জেরে আসন্ন। আর তা কয়েক মাসের মধ্যেই আসতে চলেছে। এদিকে, সারা দেশে কার্যত উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। কেরলে ওনম উৎসবের পরই করোনা বিপুল হারে বাড়তে শুরু করেছে।

এদিকে, বাংলায় সামনেই দুর্গাপজো। সেই জায়গা থেকে বাড়ছে উদ্বোগ।উল্লেখ্য, দেশে ইতিমধ্যেই ৬ রাজ্যে ১০০ শতাংশ হারে পূর্ণ হয়েছে করোনার প্রথম ডোজ। তবে তারমধ্যে করোনার তৃৃতীয় স্রোত আছড়ে যে পড়বেই তা অবিশ্যম্ভাবী বলে বর্ণনা করেছেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী।

তাঁর মতে করোনার তৃতীয় স্রোত সেভাবে ভয়ঙ্কর হবে না ভারতের জন্য, তবে আগামী তিন মাসের মধ্যেই তা আসতে চলেছে। এই কিন মাসের মধ্যে রয়েছে অক্টোবর ও নভেম্বর। প্রসঙ্গত অক্টোবরেই রয়েছে দুর্গাপুজো, আর নভেম্বরে রয়েছে কালীপুজো।

বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলজির অধ্যাপক জ্ঞানেশ্বর চৌবের দাবি, করোনার যে তৃতীয় স্রোত আসতে চলেছে তা ভয়ঙ্কর হতে পারবে না। তিনি জানাচ্ছেন, যাঁরা ভ্যাকসিন পেয়েছেন তাঁরা একমাত্র এই স্রোতের সময় নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে থাকতে পারবেন।

ফলে তাঁরা সেভাবে আক্রান্ত হবেন না। আর ।যেহেতু দেশের একটা বড় অংশের ভ্যাকসিন সম্পন্ন হয়েছে, ফলে করোনার জেরে তৃতীয় স্রোত ভয়ঙ্কর হবে না।এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে আসা খবর অনুযায়ী, ভারতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫,৪০৪ জন।

করোনার জেরে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ঘরে ৩৭,১২৭ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃতের সংখ্যা ৩৩৯ জন। এদিকে, সেই জায়গা থেকে যদি গতকালের হিসাব দেখা যায় , তাহলে পরিলক্ষিত হবে যে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭,২৫৪ জন। অনেকটাই কমেছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ।

সেই জায়গা থেকে এদিন আরও নামল করোনার আক্রান্তের সংখ্য়া।এদিকে , দেশে দ্রুততার সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যেই গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভে দেখা যাচ্ছে দেশে মোট ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৭৫ কোটি ২২ লক্ষ মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা পেয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭৮ লক্ষ মানুষ।

এদিকে দেশের ছয়টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মানুষ ১০০ শতাংশ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। সিকিম, নগর হাভেলি, দাদরা, গোয়া, দমন, দিউতে করোনার জেরে ভ্যাকসিনের এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে। ফলে ভারত কার্যত নিজের লক্ষ্যে ভ্যাকসিনেশনের গতি বাড়িয়ে একটি কাঙ্খিত জায়গা অর্জন করতে চলেছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।

তবে করোনার টিকা নেওয়ার পরও বহু জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। সমস্যা ও জটিলতা এখান থেকেই শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রর তরফে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে , তাতে দেখা গিয়েছে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৩২,৮৯,৫৭৯ জন, অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ৩,৬২,২০৭ জনের মধ্যে, মোট মৃতের সংখ্যা ৪,৪৩,২১৩ জন।

মোট ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৭৫,২২,৩৮,৩২৪ জন।গবেষণা বলছে, দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি তিন মাসে পড়ে যায় মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এদিকে সদ্য প্রবল হারে ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ চলেছে দেশে। সেই জায়গা থেকে দেশে আগামীদিনে করোার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খানিকটা নিচু স্তরে গেলেই তবে করোনার তৃতীয় স্রোত হানা দিতে পারবে। এদিকে,

বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের মধ্যে প্রবল হারে জ্বরের খবর পাওয়া যাচ্ছে দেশ জুড়ে। জানা যাচ্ছে , ভাইরাল জ্বরের কারণে দেশের বহু জায়গায় আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *