উৎসবের মধ্যেও করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী দেশে, ১৫ হাজারের নিচে দৈনিক সংক্রমণ

উৎসবের মধ্যেও করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী দেশে, ১৫ হাজারের নিচে দৈনিক সংক্রমণ

ব্যুরো রিপোর্ট:  পুজোর পরে খুশির খবর করোনার আবহে। দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের নিচে নামল দীর্ঘদিন পর। রবিবার করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যানে আভাস স্পষ্ট সুস্থ হচ্ছে দেশ। এদিন একলাফে অনেকটাই কমল সংক্রমণ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। উৎসবের মরশুমেও করোনা সংক্রমণে এই নিয়ন্ত্রণ স্বস্তি দিয়েছে দেশবাসীকে।বাংলায় দুর্গাপুজো ও নবরাত্রি পেরিয়ে গিয়েছে। দশেরা উৎসবও হয়েছে বহু জায়গায়।

তারপর করোনার সংক্রমণে রাশ অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪,১৪৬ জন। কমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ১৪৪ জন।দেশে নিম্নমুখী করোনা সংক্রমনের হারও।

ফলে করোনার উদ্বেগ অনেকটাই কমেছে। উৎসবের আনন্দে সপ্তাহভর মেতেছিল গোটা দেশ। বাংলায় দুর্গাপুজো, অন্যদিকে নবরাত্রি, দশেরা। বাংলা সহ দেশের একাধিক রাজ্যে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় ধরা পড়েছে।

বারবার গবেষকরা এই নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। তারপর এখনও পর্যন্ত স্বস্তির ছবিই সামনে এসেছে।গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা ভাইরাসের দৈনিক গ্রাফ সন্তোষ জনক জায়গায় রয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণ ১৪ থেকে ১৬ হাজারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করেছে।

দুর্গোৎসব, নবরাত্রি ও দশেরার মধ্যেও এই নিয়ন্ত্রণ আশা জাগিয়েছে বিশেষজ্ঞদের। দেশে মোট করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখন ৩,৪০,৬৭,৭১৯ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ১৪৪ জন।

গতকালের চেয়ে খানিকটা কম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন মোট ৪,৫২,১২৪ জন। দেশে কমেছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষের নীচে নেমে গিয়েছে।

বর্তমানে সক্রিয় রোগী ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৪৬।গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯,৭৮৮ জন। মোট করোনামুক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৪৯। করোনায় এদি ভ্যাকসিনেশন হয়েছে ৪১ লক্ষ ২০ হাজার ৭৭২।

মোট করোনা ভ্যাকসিনেশন ৯৭ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৪০।করোনা সংক্রমণ পশ্চিমবঙ্গেও কমেছে দুর্গাপুজোর মধ্যে। তবে তার মধ্যেও উদ্বেগ লুকিয়ে রয়েছে। কারণ পুজো ক-দিন করোনা পরীক্ষা হয়েচে যৎসামান্য।

তারপর পুজোয় দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে ভিড়ের মধ্যে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁরা। পুজোর চারদিন বন্ধ ছিল কলকাতা শহরে পুরসভার টিকাকরণ অভিযানও বন্ধ ছিল।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *