ব্যুরো রিপোর্ট: ব্রিটেনের সঙ্গে কোভ্যাক্সিনের মান্যতা ইস্যুতে বহু দিন ধরেই সমস্যা চলেছে ভারতের। দুপক্ষের তরফে কূটনৈতিক দিক থেকে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সেক্ষেত্রে কিছুটা সফলও হয় ভারত। এদিকে, বিশ্বে এমন বহু দেশ রয়েছে যে দেশে করোনাকালে কোভ্যাক্সিনকে ভ্যাকসিনের মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ সেদেশে গেলে কোভ্যাক্সিনে ভ্যাকসিনেটেড থাকলেও তার সার্টিফিকেট মান্যতা পাবে। তবে সেই দেশগুলিতে ভারতীয়দের পৌঁছানো বা সফর করা কঠিন। জানেন কেন!গ্রিসের মাটিতে পা রাখলেই প্রয়োজন আরটি পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট।
৭২ ঘণ্টারও কম সময়ে এটি প্রয়োজন। নেগেটিভ অ্যান্টিজেন টেস্ট প্রয়োজন ৪৮ ঘণ্টার কম সময়ে। এদিকে, গ্রিসে-ভারত কোনও সরাসরি বিমান নেই। ফলে যাত্রা ঘুরিয়েই করতে হবে, সেক্ষেত্রে ভারত থেকে রিপোর্ট নিয়ে গেলেও তা সময়ের নিরিখে গ্রিসের নিয়মের বাইরে হবে।
অস্ট্রিলিয়াও মেনে নিয়েছে কোভ্যাক্সিনের ডোজতে। সেই ডোজকে কার্যত মান্যতা দিয়ে অস্ট্রেলিয়া হু এর আগে কোভ্যক্সিনকে মান্যতা দিয়েছে। তবে সেদেশে পৌঁছতেও একই সমস্যা। ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবল না থাকার জন্য এই দেশে পৌঁছানো কঠিন।সরাসরি বিমানে ফিলপিন্সে যেতেও একই সমস্যা।
বহু দেশ ঘুরে তবে ফিলিপিন্সে যেতে হবে। এদিকে সেদেশের তরফে দেওয়া হয়েছে কোভ্যাক্সিনকে মান্যতা। মেক্সিকো, মরিশাসের মতো দেশ কোভ্যাক্সিনকে মান্যতা দিলেও ভারতের সঙ্গে তাদের এয়ার বাবল চুক্তি নেই। ফলে সমস্যা সমস্যার জায়গাতেই থেকে গিয়েছে।
এদিকে, কোন দেশ ভারতে নির্মিত কোভ্যাকসিনকে মান্যতা দিয়েছে আর দেয়নি, তার সংঘাতের মাঝেই জানা গিয়েছে, এদিন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু ভারতের এই উদ্যোগকে মান্যতা দিয়েছে। ফলে এখন থেকেভিন দেশে গেলেও এই কোভ্যাক্সিন নেওয়া থাকলে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমস্যা কেটে যাবে।