ব্যুরো রিপোর্ট: বুধবার অতি শক্তিশালী হারিকেন ইয়ান ফ্লোরিডায় উপকূলে আঘাত হেনেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্লোরিডার উপকূল অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া গিয়েছে। একাধিক অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। ঘর বাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। বেশিরভাগ অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মার্কিন উপকূলরক্ষীদের তরফে জানানো হয়েছে, হারিকেন ইয়ানের জেরে শরণার্থীদের একটা নৌকা ডুবে গিয়েছে। ওই নৌকায় ২০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তারমধ্যে তিন জনকে উপকূলরক্ষীরা উদ্ধার করতে পেরেছে। ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের তরফে জানানো হয়েছে. হারিকেনটির চোখ ফোর্ট মায়ার্স শহরের পশ্চিমে ক্যায়ো কস্তার বাধা দ্বীপে স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল তিনটে নাগাদ আঘাত হেনেছে।
ইতিমধ্যে একাধিক ফুটেজ প্রকাশ হয়েছে। সেখানে ফ্লোরিডা উপকূলে হু হু করে সমুদ্রের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাচ্ছে। অনেক বাড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে। এক কথায় ফ্লোরিডা উপকূলে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে দেওয়া গিয়েছে।ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইয়ান প্রতি ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বেগে ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত করে।
স্থানীয় সময় রাত ১১টা নাগাদ ঝড়ের সঙ্গে ফ্লোরিডায় জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। একাধ্ধ্ক অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। পরে ইয়ানের গতিবেগ কিছুটা কমে ঘণ্টার ৯০ মাইল বেগে হয়ে যায়।মার্কিন প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। ফ্লোরিডার ১১ মিলিয়নের বেশি মানুষ হারিকেনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।
ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইয়ানের জেরে ফ্লোরিডার পাশাপাশি জর্জিয়া ও দক্ষিণ ক্যারোলিনা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই প্রদেশগুলোতে কয়েক মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। আগে থেকেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল হারিকেনের। উপকূলবর্তী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।ফোর্ট মায়ার্সের উত্তরে, পুন্তা গোর্দা শহরটি ইয়ানের জেরে প্রায় সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল।
ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। কয়েকটি বাড়িতে জেনারেটর থাকার জন্য আলোর দেখা মিলেছিল। ফ্লোরিডার উপকূল থেকে ২.৫ মিলিয়ন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের তরফে বেশ কয়েকটি ত্রাণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, উপকূল অঞ্চলে যাঁরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেননি বা কোনও ত্রাণ শিবিরে যাননি, তাঁরা যেন ঝড়ের সময় নিজের বাড়িতে থাকেন।