ব্যুরো রিপোর্ট: জাতীয় স্তরে নিজেদের শক্তি আরও বাড়াতে চলেছে তৃণমূল। সম্প্রতি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। শোনা যাচ্ছে, এবার ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করতে পারেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা।
শুক্রবারই তিনি যোগ দিতে পারেন বলে খবর। তার সঙ্গে যোগ দিতে পারেন কংগ্রেসের আরও ১৩ জন বিধায়ক।সম্প্রতি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো জানিয়েছিলেন, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল তাঁর। এর পরেই পিকের কথাইতেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
সূত্রের খবর, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করেন পিকে। কিছুদিন আগে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ার কথাবার্তা পাকাপাকি করতে কলকাতায় এসেছিলেন সাংমা।
এর পরেই মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর তৃণমূল যোগদান নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং পদত্যাগের পরেই কংগ্রেসের ভাঙনের ছবি সামনে আসে।
তার পরেই ছত্তিসগড়েও কংগ্রেসের পরিস্থিতি বর্তমানে কিছুটা টালমাটাল অবস্থা। তার মধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর তৃণমূলে যোগদান এবং মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের জল্পনা জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের ভাঙনের ছবি সামনে আনছে।
তবে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী একা নন, তাঁর সঙ্গে আরও ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ত্রিপুরা, অসম এবং গোয়ায় নিজেদের রাজনৈতিক বাড়াতে সক্রিয় তৃণমূল।
ফলে সাংমা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলে উত্তর-পূর্ব ভারতে কংগ্রেসে বড়সর ভাঙন ধরবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের।সূত্রের খবর, সাংমা একা নন, তাঁর সঙ্গে আরও ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।
অন্যদিকে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ত্রিপুরা, অসম এবং গোয়ায় নিজেদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বাড়াতে সক্রিয় তৃণমূল। যেই জন্য দলের একাধিক প্রথম সারির নেতাকে ত্রিপুরা ‘দখলে’ পাঠিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
অন্যদিকে পূর্ব ভারত দখলের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অসমের সুষ্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছেন মমতা।
পাশাপাশি অসমের রাইজ্যর দলের প্রধান অখিল গগৈ তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছন। এবার সাংমা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলে উত্তর-পূর্ব ভারতে কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের।