ব্যুরো রিপোর্ট: টোকিও অলিম্পিকে রেকর্ড গড়লেন সমকামী অ্যাথলিটরা। অংশগ্রহণের সংখ্যায় প্রতিযোগিতার সর্বকালের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন তাঁরা।
যা এক দৃষ্টান্ত হিসেবে উঠে এল। টোকিও প্যারালিম্পিক থেকে নতুন দিগন্তের উদয় হবে বলে মনে করেন বিশ্বের ক্রীড়া মহল। যা আগামী অলিম্পিকগুলিকেও পথ দেখাবে বলে আশা। দেখে নেওয়া যাক সেই পরিসংখ্যান।
টোকিও প্যারালিম্পিকে মোট ২৮ জন এমন অ্যাথলিট অংশ নিয়েছেন, যারা সমকামী সম্প্রদায়ভূক্ত। এত সংখ্যক এলজিবিটি প্যারা অ্যাথলিট এর আগে প্রতিযোগিতার অন্য কোনও সংস্করণে অংশ নেননি।
একই প্রেক্ষাপটে এতদিন রেকর্ড ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল ২০১৬ সালের রিও প্যারালিম্পিক। তবে টোকিও গেমসের সমকামী সম্প্রদায়ভূক্ত প্যারা অ্যাথলিট সংখ্যা গত সংস্করণের থেকে দ্বিগুনেরও বেশি বলে জানানো হয়েছে।
চলতি মাসেই শেষ হওয়া টোকিও অলিম্পিকও একই প্রেক্ষাপটে ইতিহাস রচনা করেছে। গত ৮ অগাস্ট শেষ হওয়া টোকিও গেমসে মোট ১৮৫ জন সমকামী সম্প্রদায়ভূক্ত অ্যাথলিট অংশ নিয়েছিলেন। যে পরিসংখ্যান ভেঙে দিয়েছে সর্বকালীন রেকর্ড।
টোকিও অলিম্পিকের আগে পর্যন্ত ২০১৬ সালের রিও গেমসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এলজিবিটি অ্যাথলিট অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু টোকিও সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। রিওর তিন গুনেরও বেশি সমকামী অ্যাথলিট এবারের অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন।
টোকিওয় আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে প্যারালিম্পিক। মোট ১৬২টি দেশের ৪৪০০ জনেরও বেশি অ্যাথলিট ২২টি ক্রীড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামবেন।
ভারত থেকে মোট ৫৪ জন অ্যাথলিট ৯টি ক্রীড়া ইভেন্টে অংশ নিতে চলেছেন। ২০১৬ সালের রিও গেমসে ভারতের থেকে অংশ নিয়েছিলেন ১৯ জন প্যারালিম্পিয়ান।
দুটি সোনা, একটি রুপো এবং ব্রোঞ্জ নিয়ে ওই অলিম্পিক অভিযান শেষ করেছিল দেশ। তবে এবার দেশে অন্যান্য বারের থেকে বেশি পদক আসবে বলে আশা প্রকাশ করছেন ক্রীড়া প্রেমীরা।
অলিম্পিক শেষ হয়েছে এক মাসও হয়নি। তারই রেশ নিয়ে রঙিন আলো ও আতসবাজির ভেলায় ভেসে টোকিওয় শুরু হল প্যারালিম্পিক। করোনা ভাইরাসের আবহে বর্নাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাচ, গানের মুখরিত হল দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম।
নিজেদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি দিয়ে বিভিন্ন দেশের প্যারা-অ্যাথলিটদের বরণ করে নিল জাপান। যাঁদের আবেগপূর্ণ ফ্ল্যাগ মার্চে সম্বৃদ্ধ হল স্টেডিয়াম। চ্যাম্পিয়নদের প্রত্যক্ষ করল বিশ্ব।
ভিআইপি বক্সে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করার পাশাপাশি সব দেশের প্যার-অ্যাথলিটদের হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান জাপানের রাজা নারুহিতো ও প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। সম্প্রতি তালিবানদের অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে উত্তাল হয়ে রয়েছে আফগনিস্তান।
নতুন সরকারের অধীনে কী হবে সে দেশের ক্রীড়ার ভবিষ্যত, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তার মধ্যে টোকিও প্যারালিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পতপত করে উড়তে দেখা গেল আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা। যা শান্তি ও সংহতির বার্তা বহন করছে।
উল্লেখ্য দেশজুড়ে চলতে থাকা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে টোকিও প্যারালিম্পিকে অংশ নিতে পারেননি আফগান অ্যাথলিটরা। টোকিও গেমসের হাত ধরে প্যারালিম্পিকে অভিষেক ঘটল রিফিউজি বা উদ্বাস্তু দলের।