ব্যুরো রিপোর্ট: কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সকাল থেকে আকাশ তুলনামূলক পরিষ্কার। জেলাগুলির আবহাওয়ারও উন্নতি হয়েছে। তবে সঙ্গে অস্বস্তির গরমও রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে শুক্রবার নাগাদ উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে।
যা থেকে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। তারপর থেকে বৃষ্টিপাত বাড়বে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায়।বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালের মধ্যে কোনও জেলাতেই আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
তবে সব জেলাতেই কোনও না কোনও জায়গায় বর্ষার বৃষ্টি অর্থাৎ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং আলিপুরদুয়ারের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাকি জেলাগুলির অবস্থা থাকবে আগেই মতোই। আপাতত কোথাও দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে।মঙ্গলবার ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হলেও, বুধবার বিকেলের দিক থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে।
আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালের মধ্যে কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে জেলাগুলির কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩২ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল (২৩.৭)
বালুরঘাট (২৬.৬)
বাঁকুড়া (২৩.৪)
ব্যারাকপুর (২৪.৬)
বহরমপুর (২৪.৬)
বর্ধমান (২৪.২)
ক্যানিং (২৪)
কোচবিহার (২৫.২)
দার্জিলিং (১৬)
দিঘা (২৪.৮)
কলকাতা (২৪.৬)
মালদহ (২৫.৩)
পানাগড় (২৪.৯)
পুরুলিয়া (২৪.১)
শিলিগুড়ি (২৬)
শ্রীনিকেতন (২৪.৬)
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর নাগাদ বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে। যা গতিপথ হতে পারে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অর্থাৎ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে।
পরবর্তী তিনদিনে ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরি এবং তার সক্রিয়তার জানান দেবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর।মৌসুমী অক্ষরেখা এখনও তার নির্দিষ্ট অবস্থানের দক্ষিণেই অবস্থান করছে। আগামী দিন তিনেক সেই অবস্থানেই থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস।
মৌসুমী অক্ষরেখা রাজকোট, প্রতাপগড়, উত্তর মধ্যপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকায় থাকা নিম্নচাপ এলাকার মধ্যে দিয়ে অম্বিকাপুর, ঝাড়সুগুদা, বালাসোর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।