ব্যুরো রিপোর্ট: প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে কেরল। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারনে কার্যত লন্ডভন্ড অবস্থা সে রাজ্যের। বিভিন্ন জায়গাতে হড়পা বান এবং ধসের কারনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর জন্যে আমরা সবদিক থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিক।তবে প্রবল বৃষ্টির কারনে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ১২ জনেরও বেশি মানুষের খোঁজ নেই বলেও জানা যাচ্ছে।যদিও ইতিমধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নেভি এবং ভারতীয় বায়ুসেনার সাহায্য চাওয়া হয়েছে। শনিবারেই এই সাহায্য রাজ্যের তরফে চাওয়া হয়। আর এরপরেই দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী উদ্ধারকাজে নেমেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও উদ্ধারকাজে নেমেছে সে রাজ্যের দমকল থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। স্থল পথে তো বটেই, আকাশ পথে এয়ার লিফট করে বহু মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে। বন্যা বিধ্বস্ত জায়গাগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির।সবথেকে খারাপ অবস্থা কেরলের কোট্টায়াম ও ইদ্দুকিতে। প্রবল দুর্যোগে ভাসছে গোটা এলাকা। কেরলের একাধিক জেলায় জারি হয়েছে রেড অ্যালার্ট। শনিবার সকাল থেকেই ওই সব জেলায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। শনিবার সন্ধেয় হয় সেই বৈঠক।শুধু তাই নয়, রাজ্য প্রশাসনের তরদফে ইতিমধ্যে সেখানে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতি মুহূর্তের অবস্থার খোঁজ নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা যাচ্ছে, পাহাড়ি এলাকায় রাতে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কেরলের পাঁচ জেলা পাঠানামথিত্তা, কোট্টায়াম, এরনাকুলম, ইদুক্কি ও ত্রিশূরে প্রবল বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।এ ছাড়া কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিরুঅনন্তপুরম, কোল্লাম, আলাপ্পুঝা, পালাক্কাড়, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, ওয়ানাড়ে।
এই সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলাতে লাল সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।ইতিমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় জরুরি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও স্থানীয় পুলিশ[-প্রশাসনকে সতক থাকার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিপজয় মোকাবিলা বাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমলেই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে।তবে আতঙ্ক যাতে তৈরি না হয় সেজন্যে বারবার প্রশাসনের তরফে জানানো হচ্ছে।
কারণ এর আগেও এহেন ভয়ঙ্কর বন্যা দেখেছে সে রাজ্যে। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর সেই বিষয়টিকে তুলে ধরেই সবাইকে শান্ত থাকার রার্তা রাজ্য প্রশাসনের। তবে মৌসম ভবন জানাচ্ছে, আজ রবিবার থেকেই সে রাজ্যে বৃষ্টি কমতে শুরু করবে।