ব্যুরো রিপোর্ট: আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলাটা যেন প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দুদিন আহে লস অ্যাঞ্জেলসে গুলিতে ১১ জনের মৃত্যুর পরে এবার তিনটি জায়গায় বন্দুকবাজের গুলিতে কমপক্ষে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছেআমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হামলা। ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে তিনটি ঘটনা।
এই তিনটি ঘটনায় দুই ছাত্র সমেত কমপক্ষে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা।প্রসঙ্গত ৪৮ ঘন্টা আগে লস অ্যাঞ্জেলসে চিনা নববর্ষের অনুষ্ঠানে বন্দুকবাজের গুলিতে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়।উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া, আইওয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতে এই হামলার ঘটনাগুলি ঘটে।
সানফ্রান্সিসকোর কাছে হামলায় সাতজনের মৃত্যু এহং তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। অন্যদিকে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার হাফ মুন বে-তে গুলি চালনার ঘটনায় সেখানকার শেরিফ টুইট করে বলেছেন, হামলাকারীকে হেফাজতে নিয়েছে প্রশাসন।
সেখানে আপাতত ভয়ের কোনও কারণ নেই।তবে মাউন্টেন মাশরুম ফার্মে একজনের মৃত্যু হয়েছে, দুজন আহত হয়েছেন। আর এর কাছেই রাইস টাকিং-সয়েল ফার্মে তিনজন মারা গিয়েছেন। পরে জানানো হয়েছে দুটি ঘটনায় অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবারের হামলায় সময় মন্টেরি পার্কে ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। এর এদিন ক্যালিফোর্নিয়াতেই হামলা। ফলে টুইটে তিনি বলছেন, ট্র্যাজেডির ওপরে ট্র্যাজেডি।আইওয়ায় স্টার্টস রাইট হিয়ারে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান চলছিল।
সেখানে বন্দুকবাজের হামলায় দু-জন মারা যান এবং তিনজন আহত হন। এঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।স্থানীয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুই ছাত্র হাসপাতালে মারা গিয়েছে। তৃতীয় ব্যক্তি, স্কুলের কর্মী, আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকায় বন্দুক নিয়ে হিংসার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরার অনুমতিতেও বিতর্ক রয়েছে। তার মধ্যেই ঘটে চলেছে এই ঘরনের একের পর এক ঘটনা।আমেরিকার এক সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুসারে,
গত বছরে বন্দুকবাজদের গুলি চালনার ৬৪৭ টি ঘটনায় কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ২০২২-তে বাইডেনের দেশে গুলির আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল কমপক্ষে ৪৪ হাজার জনের। এর অর্ধেকের বেশি ছিল আত্মহত্যাজনিত।