ব্যুরো রিপোর্ট: উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে তা নেই। বরং মৌসুমী অক্ষরেখা দূরে সরে যাওয়ার কারণে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে।
কলকাতায় দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার মধ্যে দিয়ে জলীয় বাষ্পজনিত অস্বস্তির আবহাওয়া সর্বত্রই বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের (weather office) তরফে।
শনিবার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ২২ অগাস্ট সোমবার সকালের মধ্যে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বাকি জেলাগুলির কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার এই দুই জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি এবং দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি
এবং কালিম্পং-এ ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরবর্তী দিন চারেকে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ২২ অগাস্ট সোমবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
তবে সব জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের মতোই আগামী ২৪ ঘন্টায় দিনের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরবর্তী কয়েকদিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেথা গঙ্গানগর, আলোয়ার, গোয়ালিয়র, সাতনা, অম্বিকাপুর, ঝারসুগুদা, বালাসোর হয়ে পূর্ব দিকে গিয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত গিয়েছে।
যে ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ বিহার এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে ছিল তা বর্তমানে উত্তর-পূর্ব মধ্যপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার ওপরে অবস্থান করছে।
কলকাতা ও আশপাশের এলাকার ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এদিন সকালে বলা হয়েছে, আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে।
দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩১ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল ২৫.১ (২৫)
বালুরঘাট ২৬.৬ (২৬.৬)
বাঁকুড়া ২৫.৬ (২৫.১)
ব্যারাকপুর ২৬.৮ (২৬)
বহরমপুর ২৫.২ (২৫.২)
বর্ধমান ২৪.৬ (২৫)
ক্যানিং ২৪ (২৪.৬)
কোচবিহার ২৫.৫ (২৫.৬)
দার্জিলিং ১৬.২ (১৬)
দিঘা ২৬.৭ (২৫.২)
কলকাতা ২৬.৬ (২৫.৫)
মালদহ ২৬.৭ (২৭.১)
পানাগড় ২৬.৭ (২৬.৩)
পুরুলিয়া ৩২.৩ (২৪.৫)
শিলিগুড়ি ২৪.৬ (২৪.৭)
শ্রীনিকেতন ২৬ (২৬.৩)