বিজেপিতে ফের জল্পনা বাড়ালেন হিরণ, ‘গরুর দুধে সোনা’ প্রসঙ্গে গবেষণার খোঁচা দিলীপকে

বিজেপিতে ফের জল্পনা বাড়ালেন হিরণ, ‘গরুর দুধে সোনা’ প্রসঙ্গে গবেষণার খোঁচা দিলীপকে

ব্যুরো রিপোর্ট:  একুশের ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর থেকেই বিজেপিতে শুরু হয়েছে নানা অশান্তি। বিজেপির বিধায়করা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বিদ্রোহের রাস্তায় হাঁটছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এরই মধ্যে মতুয়া গড়ের বিধায়কর একটু মুখ বন্ধ রাখলেও দিলীপ-গড়ে অশান্তি জারি রইল।

খড়গপুর সদর কেন্দ্রের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় ফের অস্বস্তি বাড়ালেন।হিরণ চট্টোপাধ্যায় সেই খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষকে। দিলীপ ঘোষকে নিশানায় হিরণ বললেন, গরুর দুধে সোনা আছে কি না তা নিয়ে গবেষণার আগে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ যুব সমাজের কী করে উন্নয়ন হবে।

তাঁরা কী করে কাজ পাবেন। সেটা নিয়েই গবেষণা দরকার। তাঁর এই কথায় স্পষ্ট নিশানা দিলীপ ঘোষের দিকে।মতুয়ারা বিজেপির গ্রুপ ছাড়ার পর হঠাৎ করেই বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন কড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

তাঁর বিজেপির গ্রুপ ছাড়ার কারণ নিয়ে চর্চায় বারবার উঠে আসছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম। তাঁর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই হিরণ বিজেপিতে বিদ্রোহী হয়ে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বলে জল্পনা চলছিল।

তাঁর পাল্টা দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেছিলেন একজন জনপ্রতিনিধির পার্টির গাইডেন্স মেনে চলা উচিত। মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন। তাই মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে। পার্টির সঙ্গে থাকতে হবে।

এটাই নিয়ম।খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় তারপর উন্নয়নের পক্ষে থাকার সওয়াল করে জল্পনা বাড়ান বিজেপি ছাড়া এবং তৃণমূলে যোগদান নিয়ে। রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমতে তোলপাড় করে দিয়ে হিরণ বলেন, দল আমাকে সংগঠনের কাজে লাগায় না।

বঙ্গ বিজেপির বড় বড় নেতারা মনে করেন, দলে আমার কোনও দরকার নেই। তাই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। যেখানে উন্নয়ন হবে, সেখানে আছি। উন্নয়নে বাধা দিলে প্রতিবাদ জানাব।এরপর দিলীপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হিরণ বলেন,

দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে এসে সভা করেন, ইচ্ছামতো দল চালান। আমাকে কিছুই জানান না। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি খড়গপুরে যান দলের কাজে। তাই সবাইকে জানাবার প্রয়োজন তিনি বোধ করেন না। বিধায়কের উচিত দলের কাজকর্ম নিয়ে খোঁজ খবর রাখা।

তিনি যদি তা না করেন, দলের কেউ সব কিছু জানাতে যাবে না। এই বাদানুবাদ লেগেই ছিল। জল্পনা চলছিল তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে। তখনই তিনি বহুল প্রচারিত এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি দিলীপ ঘোষের ২০১৯ সালে করা গরুর দুধে সোনা খোঁজার প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দেন।

তবে সেইসঙ্গে তিনি জানান, অনেক গ্রুপেই রয়েছি। ওই গ্রুপগুলিতে থাকার প্রয়োজন নেই মনে করেই সরে গিয়েছি। দল বললে আবার ঢুকে যাব।হিরণ আরও বলেন, গ্রুপ ছাড়ার সঙ্গে দল ছাড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। আর কারও সঙ্গে আমরা ব্যক্তিগত শত্রুতাও নেই।

আমি চেয়েছিলাম এলাকায় কোনও কর্মসূচি হলে আমাকে যেন আগে থেকে জানানো হয়। কিন্তু আমাকে কোনওদিন তা জানানো হয়নি। আলোচনা করে ঠিক হোক। তিনি জানান, আমি কারও কাছে কোনও নালিশ করিনি। জিজ্ঞাসা করলে আমি অবশ্যই বলব। আলোচনা করব।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *