ব্যুরো রিপোর্ট: একুশের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ডেইলি পেসেঞ্জারি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তার পরেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে বিজেপিকে। হেরে যাওয়ার পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, তাঁদের কোনও বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন না।
তবে দাবিকে ভুল প্রমানিত করে ইতিমধ্যে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন বিজেপির তিন বিধায়ক। নিজের এই দাবি ভুল ছিল বলে স্বীকারও করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর গত জুন মাসে বিজেপি ছেড়েছিলেন মুকুল রায়।
এর পরেই চলতি সপ্তাহে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস শাসক দলে যোগদান করেন। তার পরেই দলবদল আটকাতে উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিল রাজ্য বিজেপি। তবে সেখানেও গরহাজির পাঁচ বিধায়ক ও ছয় সাংসদ।
এই গোটা বিষয় নিয়েই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মুকুল দার মতো নেতার উপরে আমরা ভরসা রেখেছিলাম। তাঁকে আমরা দলের সর্বভারতীয় পদ, প্রথমবার নির্বাচনে জেতার স্বাদ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি চলে গেলেন।
মুকুলদা’র মতো নেতা এমন করলে রাজনীতির পতন হয়েছে বলতে হয়। তাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেছিলাম, আমাদের দল ছেড়ে কেউ যাবেন না। হয়তো আমি কোথাও ভুল প্রমাণিত হয়েছি!’এর পাশাপাশি অন্য দল থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে তাঁদের প্রার্থী করার বিষয় যে ভুল ছিল সেটাও স্বীকার করেছেন তিনি।
এই বিষয়ে ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এই বিষয় নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘গত ১০ বছরে ৫০ জনের বেশি বিধায়ক দলবদল করেছেন।
কিন্তু তৎকালীন বিরোধী দল তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ–বিরোধী আইন প্রয়োগে সচেষ্ট হয়নি। আমরা কিন্তু সংবিধান এবং গণতন্ত্র রক্ষার্থে শেষ পর্যন্ত লড়ব। পদত্যাগ না করে দলবদল রুখতে, সে ব্যাপারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যা করার, করব।‘