ওঁকে নিয়ে নিতে বলেছি…’, মমতার মন্তব্যের পরেই তৃণমূলে সব্যসাচী! সাক্ষী থাকলাম বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

ওঁকে নিয়ে নিতে বলেছি…’, মমতার মন্তব্যের পরেই তৃণমূলে সব্যসাচী! সাক্ষী থাকলাম বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

ব্যুরো রিপোর্ট:  পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই রাজ্য বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বাংলাতেই শপথ বাক্য পাঠ করেন তিনি।একদিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল।

শুধু তাই নয়, শাসকদলের দাবি, লাইনে আরও আছে। এটা কিছুই না।অন্যদিকে বিজেপির দাবি, এই সময়ে যারা চলে যাচ্ছে তাঁদের দলত্যাগে আদৌতে ভালোই হবে।বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল তাঁকে নিয়ে। শধু তাই নয়, ক্রমশ বিজেপির সঙ্গেও দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন তিনি।

যদিও প্রাক্তন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তের তৃণমূল যোগ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও আজ মমতা বন্দ্যপাধ্যায় সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দেন। জানিয়ে দেন, ‘‘আমি আজই ওঁকে নিয়ে নিতে বলেছি।”আর এরপরেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্যে খবর যায় সব্যসাচীর কাছে।

আর তা যেতেই বিধানসভায় পৌঁছে যান তিনি। তবে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথের সময়ে বিধানসভায় কোনও বিরোধী বিধায়করা ছিলেন না।বিধানসভা নির্বাচনে মুথ থুবড়ে পড়ে বিজেপি। আর এই অবস্থা হতেই বেসুরো হন সব্যসাচী দত্ত।

যা নিয়ে দলের মধ্যেই অস্বস্তি বাড়তে থাকে। তবে আজ বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র। তৃণমূলে ফেরার পরেই সব্যসাচীর মন্তব্য, বেশ কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আর সেই কারনেই বিজেপিতে গিয়েছিলাম।

যদিও তা মিটে গিয়েছে বলেই দাবি প্রাক্তন এই বিজেপি নেতার। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে জানান, সব্যসাচী তৃণমূলে ফিরলেন। বিধানসভায় সাক্ষী থাকলাম। শুধু তাই নয়, আগামিদিনে তৃণমূলে সমস্ত কর্মসূচীতে থাকবে।

আন্দোলনেও সব্যসাচীকে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন পার্থউত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে ৪ কৃষক-সহ মোট আটজন মারা গিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রের গাড়ির আন্দোলনরত কৃষকদের পিষে দিয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল দেশ।

চরম অস্বস্তিতে বিজেপি। এই ব্যাপারে সব্যসাচী দত্ত বলেছেন, কার গাড়ি সেটা বড় কথা নয়, যে ঘটনা ঘটেছে, যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তা মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করেছেন সব্যসাচী।

যে বা যাঁরা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, তাঁদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। এমন কী ফাঁসি ছাড়া কোনও শাস্তি হওয়া উচিত নয় বলেো মন্তব্য করেন সব্যসাচী দত্ত। আর এরপরেই তাঁর বিজেপি ছাড়ার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *