ব্যুরো রিপোর্ট: আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের সরকারের ভূমিকা কি তা এখনও স্পষ্ট না হলেও ওই দেশের তথাকথিত বিপ্লবীরা যে ভারতের পক্ষে সুবিধার নয় তা বুঝে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জে জানিয়েছেন, ‘অপেক্ষায় থাকবো কিন্তু নজরে রাখবো।‘ আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তান বিষয়ক সমস্যায় কি ভূমিকা নিতে পারে তাও এখনও সচ্ছ নয় ।
এই কয়েক দিন ওই দেশ থেকে এই দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যথেষ্ট তৎপরতা দেখিয়েছে ভারত সরকার কিন্তু ভারত আদৌ সংগ্রামে নামবে কি না তা স্পষ্ট করেননি প্রধানমন্ত্রী।
বেশ কিছুদিন ধরে সাংবাদিক মহলের প্রশ্ন ছিল অন্যান্য দেশ যখন আফগান নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না তখন দেশের বিরোধই দলগুলির সাথে আলোচনায় বসছেন না কেন প্রধানমন্ত্রী?
গত সপ্তাহেই জানানো হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে ভার্চুয়াল কিংবা সরাসরি আলোচনা করবেন বিরোধীদল সহ এনডিএর শরিকদের সঙ্গে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠকে বসছেন বলে জানা গিয়েছে। আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের কী ভাবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, কত জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর।
তালিবানের সঙ্গে আগামী দিনে ভারতের কৌশল কী হবে। আফগানিস্তানে ভারত এত দিন ধরে যে বিনিযোগ করেছে, তার নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও বৈঠকে বলতে পারেন বিদেশমন্ত্রী।
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকরা। থাকবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে মমতা মোদিকে তাঁর বক্তব্য জানাবেন বলেই সুত্রের খবর।