ব্যুরো রিপোর্ট: জঙ্গিদমনে কড়া বার্তা পাকিস্তানে! দেশের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ থামাতে বড়সড় অভিযান চালাল ইমরান খান সরকার।আর এই অভিযানে ১০ জঙ্গিকে খতম করল পাক নিরাপত্তা বাহিনী। একেবারে পরিকল্পনা করে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে হানা দেয় পাক নিরাপত্তাবাহিনী।
ওই অঞ্চলে জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছিল।এমন খবর ছিল পাক গোয়েন্দাদের কাছে। আর সেই খবর পাওয়া মাত্র সেখানে হানা দেয় বাহিনী। বুঝে ওঠার আগেই নিরাপত্তাবাহিনী জঙ্গিদের হামলা চালায় বলে জানা গিয়েছে।
সে দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, নিরাপত্তাবাহিনী বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে একেবারে পরিকল্পনা করে এই হামলা চালায়। আর এই হামলাতে ১০ জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কম্যান্ডার লেভেলের জঙ্গিও রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে কোনও মোস্টওয়াটেন্ড জঙ্গি সেই তালিকাতে রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে এই জঙ্গি ঘাঁটি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করেছে পাকিস্তান নিরাপত্তা বাহিনী ।
উদ্ধার করা হয়েছে রকেট, গ্রেনেড থেকে শুরু করে প্রচুর বিস্ফোরক।এই ঘটনার পর পাকসেনার তরফে বিস্তারিত জানানো হয়েছে এই অভিযান সম্পর্কে।
সেখানে পাকসেনার দাবি, এই সমস্ত জঙ্গিরা পাকিস্তানের বুকে বড়সড় নাশকতা চালাতেই ওই এলাকাতে জড়ো হয়েছিল। নিরপরাধ সাধারণ মানুষকেই মারা ছিল তাদের টার্গেট। আর এই খবর নিশ্চিত হতেই এই অভিযান বাহিনী চালায় বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে পাকসেনা।
তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পাকসেনার দাবি, জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এমন অভিযান চলবে।তবে পাকিস্তানের এই লোক দেখানো অভিযানে চিঁড়ে ভিজতে চায় না। মঙ্গলবারই এক পাক জঙ্গিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে ভারতীয় সেনা।
সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মাটিতে নাশকতা চালাতেই ১৮ বছরের ওই যুবক ভারতে প্রবেশ করে বলে জানা যায়। পরিবারের আর্থিক সুযোগ নিয়ে ওই যুবককে মগজধোলাই করা হয় বলেও জেরাতে সে জানিয়েছে। শুধুব তাই নয়,
গত কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। এই বৈঠক শেষে যৌথ বার্তায় জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। এমনকি রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনেও নাম না করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর এরপরেই জঙ্গি দমনে পাকসেনা। চাপের মুখেই জঙ্গি দমন না সবটাই লোক দেখানো? উঠছে প্রশ্ন।