ব্যুরো রিপোর্ট: মার্কিন সফর থেকে যেখানে হাত ভর্তি করে ফিরছেন নরেন্দ্র মোদী, সেখানে ইমরান খান রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে বক্তৃতা দিতেই তাঁর কপালে জুটেছে তীব্র সমালোচনা।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় গিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ঝোড়ো বক্তৃতা ছাড়াও নরেন্দ্র মোদী একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
আর তার জেরেই দিল্লির হাত আপাতত সাফল্যে পরিপূর্ণ বলে মনে করছে একাধিক মহল। এদিকে, ভারতের পুরনো বহুমূল্য ১৫৭ টি শিল্পকার্য ভারতে আনছেন নরেন্দ্র মোদী।
সেই জায়গায় ইমরান খান আপাতত দেশের মানুষের কাছেই তিরস্কারের শিকার তাঁর রাষ্ট্রসংঘের বার্তা নিয়ে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে মুজাহিদিন নিয়ে ইমরান খান বক্তব্য রাখেন বলে জানা যায়।
যে বক্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে ইসলামাবাদের।রিপোর্ট অনুযায়ী, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ইমরান খান মুজাহিদিনদের ‘হিরো’ বলে দাবি করেন। এর সঙ্গেই তিনি বলেন যে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান মুজাহিদিনদের হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ করেন।
ইমরান খানের বক্ত্যে উঠে অসে ‘ একটি রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি (রেগান) ওদের সঙ্গে (মুজাহিদিন) তুলনা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাদের। ওরা (মুজাহিদিন) রা হিরো!’ ইমরানের এই বক্তব্য বিশ্বদরবারে উঠে আসতেই প্রবল হইচই শুরু হয়ে যায়।
অনেকেই ইমরানকে এমন বক্তব্য যথেকে সরে আসার জন্য বার্তা দেন।এদিকে, দেশের মধ্যেই এমন মন্তব্যের জেরে রীতিমতো কোণঠাসা ইমরান সরকার।
পাকিস্তানি সাংবাদিক গারদিশ ফারুকি জানিয়েছেন যে, একটি ‘ফেক নিউজ’ থেকে তথ্য বের করে তা কে বিশ্বদরবারের সামনে তুলে ধরেছেন ইমরান। যা বিশ্বদরবারে পাকিস্তানের মাথা হেঁট করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাশাপাশি ইমরানের বক্তৃতা যিনি লিখেছেন , তাঁর প্রতিও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এই সাংবাদিক।এদিকে, ইমরান খানের ওপর বিরোধী দলনেতাদের প্রবল চাপ শুরু হয়ে গিয়েছে এই ইস্যুতে। নওয়াজ কন্যা মারিয়াম নওয়াদ জানিয়েছেন,
কেন ইমরানের বক্তৃতার লেখকের ওপর রোষ যাবে? যেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিজে এতবড় একটি সমারোহে ভুল তথ্য আওড়ে যেতে পারেন, সেখানে দায়িত্ববোধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কিছু কম নয়, বলে দাবি বিরোধীদলের।
মারিয়াম নওয়াজ এই ইস্যুতে ঝড় তুলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তাঁর কখত থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।এদিকে, ইমরান খান ‘কাউন্সিল অফ ফরেন রিলেশনস’ এর এক বৈঠকে ২০১৯ সালেও বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন।
সেই ইস্যুটি ফের একবার তুলে পাকিস্তানের বুকে কার্যত ইমরান বিরোধী হাওয়া জোরদার করেছে ইমরান বিরোধীরা। ২০১৯ সালে ইমরান সেবারও মুজাহিদিন ইস্যুতেই বক্তব্য রাখেন। আর প্রসঙ্গও ছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্তা।