ব্যুরো রিপোর্ট: গতাকালের তুলনায় ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ১২.৫ শতাংশ। উৎসবের মরশুমে যেভাবে প্রবল হারে বাড়ছে করোনার পরিসংখ্যান তাতে আসন্ন দপর্গাপুজো ঘিরে উদ্বেগ অব্যাহত।
কেরলে এদিকে হু হু করে করোনার কেস বাড়ছে। এই পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়ছে দেশ জুড়ে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে গোটা দেশের ৬৮ শতাংশ করোনা কেরল থেকে আসছে বলে জানিয়েছে।
এদিন জানা গিয়েছে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণের শিকার ৩৪,৪০৩ জন। সরকারের তরফে এদিন একথা জানানো হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক দেশের করোনা পরিস্থিতি একনজরে।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনার প্রকোপ ১২.৫ শতাংশ বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৩৪,৪০৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনার ফলে অ্যাকটিভ কেস ১.০২ শতাংশ হয়েছে গোটা দেশের নিরিখে। এদিকে, কেরলই শুধু করোনার জেরে মোট আক্রান্তের ৬৮ শতাংশ করোনা কেস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৩৩,৪৭,৩২৫ জন।সদ্য সম্পন্ন হয়েছে কেরলে ওনম। এরপর সেখানে গণেশ চতুর্থীর পর্ব চলেছে। এদিকে, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে , বর্তমানে ভারতে করোনার যা পরিস্থিতি তাতে কেরলই শুধুমাত্র সারা দেশে করোনার ৬৮ শতাংশ আক্রান্তের কারণ।
এই মুহূর্তে কেরলে মোট ১.৯৯ লাখ আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একথা জানিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে , দেশে হু হু করে করোনা বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে মিজোরাম, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র দায়ী।
দেশের মধ্যে ৬৪ শতাংশ জেলা ৫ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি রেট নিয়ে চলছে বলে সরকারের রিপোর্টে বলা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে করোনা বিধি কতটা মানা হচ্ছে , তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। এই সমস্ত জেলা কার্যত ডিস্ট্রিক্টস অফ কনসার্ন হিসাবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র।
এই সমস্ত জেলাগুলিতে কীভাবে ভ্যাকসিনেশনের কাজ এগিয়েছে, তা নিয়ে কড়া নজরদরি রাখছে কেন্দ্র। একথা জানিয়েছে খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই মুহূর্তে তৃতীয় স্রোত নিয়ে বড়সড় আতঙ্ক রয়েছে। সেই জায়গা থেকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির প্রচেষ্টায় রয়েছে দেশ।
আপাতত দিল্লি যত দ্রুত সম্ভব অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির পথে পা বাড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। একথা জানিয়েছে কেন্দ্র।এদিকে, তৃতীয় স্রোতের আতঙ্কের মধ্যে এক নতুন গবেষণা ও সমীক্ষা বলছে আগামী তিন মাসের মধ্যেই করোনার তৃতীয় স্রোত আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, এর আগে জানানো হয়েছিল আইআইটি কানপুুরের অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়ালের সূত্র মডেল অনুযায়ী, অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় স্রোত।
তবে এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়ে সম্ভাবনার কোনও বার্তা সরকারের তরফে না আসলেও, উৎসবের মরশুমের মাঝে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজারের ঘরে থাকলেও বর্তমানে তা হু হু করে ৩০ হাজারের ঘরে বাড়তে শুরু করে দিয়েছে ।
ফলে আতঙ্ক বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে সামনেই রয়েছে পুজোর মরশুম। সেই জায়গা থেকে করোনা বিধি মেনে আশপাশের পরিস্থিতিকে আয়ত্তে রাখাই কেন্দ্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।