ব্যুরো রিপোর্ট: উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্যাবিনেট ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগদান যোগী সরকারের আরেক মন্ত্রী দারা সিং চৌহানের। তাঁকে নিয়ে আর ৪৮ ঘন্টায় বিজেপি ছাড়লেন ছয় নেতা।
যদিও ওই সময়ের মধ্যে দুই বিধায়ক যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে।উত্তর প্রদেশে নিয়ে দিল্লিতে বিজেপির বৈঠকের পরেই ওবিসি নেতা তথা রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী স্বামীপ্রসাদ মৌর্য বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
অপর বিজেপি বিধায়ক অবতার সিং ভাদানা বুধবার দল ছেড়ে সমাজবাদী পার্টির সহযোগী রাষ্ট্রীয় লোকদলে যোগ দিয়েছেন।বিজেপির তিন অপর নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্যের সমর্থনে বিজেপি ত্যাগের কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার তিন্দওয়ারির বিজেপি বিধায়ক ব্রিজেশ প্রজাপতি, তিলহারের রোশনলাল বর্মা এবং বিলহাউড়ের ভগবতী সাগর দল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক নরেশ সাইনি এবং এসপি বিধায়ক হরিওম যাদব বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যার জেরে বিজেপি কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে, একের পর এক বিধায়ক-মন্ত্রীর দলত্যাগের মধ্যে।২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে কানপুর রুরালের বিলহাউরে ইতিহাস রচনা করে বিজেপি।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক ভগবতী সাগর সেখানে জয়লাভ করেন। এবার যেসব বিজেপি বিধায়ক দল ছেড়েছেন, তাঁদের মধ্যে সাগরও রয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপিতে থাকার সময়, তিনি জাতিভেদের শিকার হওয়াদের ন্যায়বিচার দিতে কাজ করেছেন।
নিজেকে বিআর আমেদকর এবং কাশীরামের ভাবধারা বলে দাবি করে ওই নেতা বলেছেন, বিজেপি সরকার সেইসব ভাবধারায় কাজ করেনি।তিনি বলেছেন, স্বামীপ্রসাদ মৌর্যের পথেই তিনি চলবেন।ভগবতী সাগর মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টিতে কাজ শুরু করে সেখানে তিনবার বিধায়ক হয়েছিলেন।
বিএসপির টিকিটে বিলহাউর থেকে প্রথমবার তিনি নির্বাচনে জয়ী হন ১৯৯৬ সালে। ২০০৭ সালে তিনি ঝাঁসির মহারানিপুর থেকে ফের বিএসপির টিকিটে জয়ী হন। আর ২০১৭ সালে বিলহাউর থেকে বিএসপির কমলেশচন্দ্র দিবাকরকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হন।
২৩ নভেম্বর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কানপুরের সমাবেশে যোগ দেননি।স্বামী প্রসাদ মৌর্যও ভগবতী সাগরের মতোই বিএসপি থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।যদিও স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে ব্রাহ্মণ ভোট কমছিল ভগবতী প্রসাদের দিক থেকে।
কিন্তু তাঁর কেন্দ্রটি তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। অনেকেই বলছেন, এই পরিস্থিতিতে বিজেপির তরফে ভগবতী প্রসাদের জয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।প্রসঙ্গত ৪০৩ আসন বিশিষ্ট উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় ৭ দফায় নির্বাচন শুরু হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ৭ মার্চ। ভোটগণনা করা হবে ১০ মার্চ।