ব্যুরো রিপোর্ট: দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরি এলাকায় বাঙালিদের ঘরবাড়ি, দোকান ভাঙার ও বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য “বাংলাদেশি” তকমা দেওয়ার প্রতিবাদে ২২ এপ্রিল কলকাতার হাজরা মোড় থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত একটি প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করা হয় বাংলা পক্ষের তরফ থেকে।
এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অমিত সেন, চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা জেলা সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা গ্রামীণের সম্পাদক দেবাশিস মজুমদার,
উত্তর চব্বিশ পরগনা শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে। এছাড়াও এই মহা মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের বিভিন্ন জেলার সহযোদ্ধারা।এই মিছিল থেকে দিল্লির সরকারের বাঙ্গালীদের উপরে আক্রমণ,
তাদের দোকানপাট, ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।বাংলা পক্ষে সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন “এই ঘটনা ন্যক্কারজনক।
দিকে দিকে বাঙালিদের উপর আক্রমণ এবং বাংলা ভাষায় কথা বললেই তাকে “বাংলাদেশি” তকমা দেওয়া হচ্ছে। বাংলা পক্ষ এই ঘটনার প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছে।
”শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বলেন “কলকাতা সহ প্রতিটি জেলায় বাংলা পক্ষ এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিবাদে নামছে। শুধু দিল্লি না, এই কলকাতায়, এই বাংলার নানা জায়গায় বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাঙালিকে ” বাংলাদেশি” বলে প্রতিনিয়ত হেনস্থার শিকার হয়।
আগামীতে বহিরাগতরা যাতে বাঙালিকে “বাংলাদেশি” বলার সাহস না পায়, তার জন্য বাংলা পক্ষর প্রতিরোধ তীব্র হবে।”চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন “বাঙালিকে বাংলাদেশি বলা ধিক্কার জনক ঘটনা।
” এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী দিনে বাংলাপক্ষ আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। বাংলা পক্ষ দলমত ও ধর্ম নির্বিশেষে ভারতের আপমর বাঙালিকে প্রতিবাদে মুখর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।