লখিমপুরকাণ্ডে বেসুরো বরুন গান্ধী, প্রকাশ্যেই সুর মেলালেন রাহুলের সুরে, বাড়ছে জল্পনা

লখিমপুরকাণ্ডে বেসুরো বরুন গান্ধী, প্রকাশ্যেই সুর মেলালেন রাহুলের সুরে, বাড়ছে জল্পনা

ব্যুরো রিপোর্ট:  লখিমপুর কাণ্ডে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বরুন গান্ধী। বিজেপি সাংসদ হয়েও কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আর তাতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। যে গাড়ি কৃষকদের পিষে মেরেছে সেই গাড়ির চালককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ছেলে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। আশিস মিশ্রর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেছে পুলিশ কিন্তু গ্রেফতার করেনি।গান্ধী পরিবারেরই ছেলে বরুন গান্ধী। বাবা সঞ্জয় গান্ধীর মতই একটু আলাদা চিন্তাভাবনা নিয়ে বড় হয়েছেন।

তাই প্রথম থেকেই বরুন গান্ধী এবং তাঁর মা মানেকা গান্ধী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। একাধিকবার বিজেপি সাংসদও নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা। তবে গত কয়েকদিন ধরে পার্টি লাইনের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন বরুন।

লখিমপুরে কৃষকদের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন তিনি। যাঁর গাড়িতে ৮ জন কৃষককে পিষে মারা হয়েছে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বরুন গান্ধীর এই বেসুরো মন্তব্যের কারণে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

লখিমপুর কাণ্ডে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বরুন গান্ধী। এই নিয়ে যোগী সরকারকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি। তাতে যোগী সরকারের পুলিশ প্রশাসনকে তুলোধনা করা হয়েছে। লখিমপুর খেরিতে যেভাবে ৮ কৃষককে পিষে মারা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।

তিনি স্পষ্ট বলেছেন এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা উচিত। তিনি চিঠিতে লিখেছেন পুলিশের উচিত , ভিডিও দেখে গাড়ির মালিককে শনাক্ত করা। যেভাবে কৃষকদের পিষে মারা হল তা ভিডিওটির দেখে গাড়ির মালিককে চিহ্নিত করা উচিত।

আজ লখিমপুরে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। তাঁকে সীতাপুরের একটি গেস্ট হাউসে বন্দি করে রাখা হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অভিযোগ করেছেন তাঁকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের কপি দেখায়নি উত্তর প্রদেশ পুলিশ।

তাঁর সঙ্গে কোনও আইনজীবীকেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিিন। তাঁকে অনৈতিক ভাবে আটকে রাখা হয়েেছ বলে অভিযোগ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।লখিমপুরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গতকাল পৌঁছে গিয়েছিলেন। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েই এক প্রকার তাঁরা পৌঁছে যান কৃষক পরিবারের কাছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।

ছিলেন সুস্মিতা দেব, কাকলি ঘোষদস্তিদার সহ একাধিক নেতা। এদিকে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে সেখানে পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে লখনউ বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছিল। লখনউ বিমানবন্দরে বসে পড়ে ধরনা দিয়েছিলেন ভূপেশ বাঘেল।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *