ব্যুরো রিপোর্ট: ভারতে করোনার গ্রাফ গত কয়েকদিনে ৪০ হাজারের উপরে উঠে যেতে দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে একটা বড় অংশ করোনায় প্রবল বিধ্বস্ত কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের অঙ্ক ৩০ হাজারের ঘরে ছিল।
এরপর দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এদিন ৪৪ হাজারের ঘরে পৌঁছে যায় শেষ একদিনে। এদিকে, দৈনিক সুস্থতার হারেও এসেছে কমতি। তবে দৈনিক মৃতের অঙ্ক আগের থেকে খানিকটা কতির দিকে গিয়েছে। একনজরে দেখা যাক এই পরিসংখ্যান।
গোটা দেশে যখন করোনার তৃতীয় স্রোতের আশঙ্কা রীতিমতো মাথা চাড়া দিতে শুরু করে দিয়েছে, তখনই মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ জানিয়েছেন,
এক সাম্প্রতিক গবেষণায় তাঁদের কাছে রিপোর্ট এসেছে যে অক্টোবর শেষ হতেই মহারাষ্ট্রে করোনার তৃতীয় স্রোত আছড়ে পড়বে। সেখানে নভেম্বর মধঅযে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন বলেও সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ওই গবেষণার রিপোর্ট।
এমন পরিস্থিতিতে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি ঘিরে। এই অবস্থায় মহারাষ্ট্রে ১৩ লাখ অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে, করোনার জেরে যখন মহারাষ্ট্র , কেরল প্রবলভাবে বিধ্বস্ত, তখন দেশের করোনাগ্রাফে পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ হাজার ৬৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩২ হাজার ৯৮৮ জন। এদিকে শেষ ২৪ ঘণ্টার নিরিখে করোনার জেরে দেশে মৃতের সংখ্যা ৫০০ এর নিচে রয়েছে। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৯৬ জনের।
এদিকে এর পাশেই যদি গতকালের পরিসংখ্যান রাখা যায়, তাহলে দেখা যাবে, গতকালের রিপোর্ট বলছে, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা ও আক্রান্তের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে , দেশে একদিনে আক্রান্ত ৪৬, ১৬৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ৩৪,১৫৯ জন।
এছাড়াও গতকালে রিপোর্ট বলছে, মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। শেষ একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে দেশের ৬০৭জন মানুষের। সেই জায়গা থেকে এদিন করোনা রিপোর্ট রীতিমতো অস্বস্তিতে রাখতে শুরু করেছে দেশবাসীকে।
একদিকে করোনার দৈনিক পরিসংখ্যানে আক্রান্তের সংখ্যায় প্রবল ফারাক রেখে উত্থান পতন, অন্যদিকে আগমীদিনে আসন্ন উৎসবের মরশুমে দেশের করোনা পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে , তা নিয়ে রয়েছে আশঙ্কা। এই অবস্থায় রীতিমতো তোলপাড় গোটা দেশ।
এদিকে, দেশে সদ্য সম্পন্ন হয়েছে ওনাম। এরপরই কেরলে হু হু করে বেড়ে গিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে, সামনে রয়েছে জন্মাষ্টমী। আগামী ৩০ অগাস্ট জন্মাষ্টমী।
তার আগে মহারাষ্ট্র জুড়ে হই হই করে পালিত হওয়ার পরম্পরা রয়েছে দহি-হান্ডি উৎসবের। তবে উদ্ধব সরকার সাফ জানিয়েছে, কোনও দহি হান্ডি উৎসব এই বছর ধুমধাম করে করোনা আবহে পালিত হবে না।
এদিকে, গণেশ চতুর্থী নিয়েও একাধিক করোনা বিধি আরোপিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেরলে করোনার চোখ রাঙানি গোটা দেশের কাছে আতঙ্কের বিষয়। এদিকে, সামনেই রয়েছে দুর্গাপজো।
তার আগে পশ্চিমবঙ্গেও হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে করোনার আক্রান্তের গতি। ভ্যাকসিন নিয়েও অনেকের দেহেই দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ।
এদিকে, দেশে করোনার টিকা নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের করোনা টিকার প্রথম ডোজ ৫০ শতাংশকে দেওয়া হয়েছে।