করোনা পরিস্থিতির মাঝে শিশুদের ক্ষেত্রে মর্ডানা ভ্যাকসিন শোনাল আশার বার্তা

করোনা পরিস্থিতির মাঝে শিশুদের ক্ষেত্রে মর্ডানা ভ্যাকসিন শোনাল আশার বার্তা

ব্যুরো রিপোর্ট:  মর্ডানার ভ্যাকসিনের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের প্রস্তুত করা ‘লো-শট’ ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই ছয় থেকে এগারো বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে কার্যকরী হতে শুরু করবে। প্রস্তুতকারক শিশুদের শট সম্প্রসারণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

একদিকে যখন প্রতিযোগী ফাইজারের তৈরি ছোটদের জন্য লো শটট ভ্যাকসিনের ডোজ ব্যাপক ব্যবহারের কাছাকাছি ,তখনই এমন বার্তা দিয়েছে মর্ডানা। ফলে কোভিড পরিস্থিতি কেবলই ব্যাবসায়িক দিক থেকেই এই বার্তা এল কি না,

নাকি সত্যিই শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন বড় আশার আলো জাগ্রত করতে পারবে , তা নিয়ে রয়েছে বহু জল্পনা। তবে আপাতত বিশেষজ্ঞদের ধারণা কোভিডের মাঝে মর্ডানার এই বর্তমান বার্তা খুবই কার্যকরী ভূমিকা নিতে চলেছে।

ফাইজারের তরফে ইতিমধ্যেউ ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে একই বয়সের শিশুদের তারাও ভ্যাকসিনের ডোজ দিতে প্রস্তুত। ফলে ভারতের বাজারে আপাতত দুই ভ্যাকসিন সংস্থার মধ্যে শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ফাইজারের ভ্যাকসিন ৫ তেকে ১২ বছরের কিশোরদের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী হতে পারে। এখনও কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়ার অনুমোদন পায়নি। তবে ছোট বাচ্চাদের মধ্যে কম ডোজের করোনা টিকা যাতে দেওয়া যায় তার বিষয়ে অনুমোন পেতে চতারা অপেক্ষা করছে।

গবেষকরা ছয় থেকে এগারো বছর বয়সীদের জন্য দুটি শট পরীক্ষা করেছেন, এক মাসের ব্যবধানে, প্রতিটিতে প্রাপ্তবয়স্কদের দেওয়া অর্ধেক ডোজ রয়েছে।প্রাথমিক স্তরের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে টিকা দেওয়া শিশুরা ভাইরাস-প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করতে পারে প্রাপ্ত বস্কদের মতো করেই।

প্রাপ্ত বয়স্কদের দুটি ডোজ দিয়ে যে প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে ওঠে, সেই একই প্রতিরোধী ক্ষমতা এই ছোট্ট শিশুদের অল্প ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ডোজ দিয়ে তৈরি করা যায়। গবেষণায় ৬ থেকে ১১ বছর বয়সী ৪,৭৩৫ শিশু অন্তর্ভুক্ত ছিল, যারা ভ্যাকসিন বা ডামি শট পেয়েছিল।

প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো করেই শিশুরাএ ভ্যাকসিন শট নিয়ে মাথা ধরা ঘুমঘুম ভাব, এছাড়াও অনেকেই ইংজেকশন নেওয়ার পর জ্বর আসছে বলেও দেখা যাচ্ছে। ফলে প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো করেই শিশুদেরও একই রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

মর্ডানা বলেছে যে এটি নিয়ে শীঘ্রই এফডিএ এবং বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রকদের কাছে তার পেডিয়াট্রিক ডেটা জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ফলে অনেকেই মনে করছেন যে মর্ডানার শিশুদের ব্যাকসিন আসাটা এখন সময়ের অপেক্ষা। এরপর তাদের মান্যতা পাওয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *